প্রতীকী ছবি।
পুরভোটে জয়ী নির্দল প্রার্থীর চার কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ছোট্টু বিশ্বাস, বিশ্বনাথ হালদার, দীপক হালদার এবং ইসমাইল রানা। তাদের পূর্বপাড়া ও মিলনপল্লি এলাকা থেকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভোটের দিন বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আছে এঁদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন চিরঞ্জিৎ বিশ্বাস। তিনি এ বার তৃণমূলের টিকিটের দাবিদার ছিল। দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দা, প্রাক্তন কাউন্সিলর হিমাদ্রি মণ্ডলকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল এই ওয়ার্ডে।
ভোটের দিন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গোলমাল হয়। অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করতে এসেছিল। বাসিন্দারা প্রতিরোধ করেন।
এ দিকে, নির্দল প্রার্থীর কর্মীদের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মহিলা-পুরুষ জোটবদ্ধ হন। শুক্রবার সকালে বনগাঁ থানার জমায়েত হয়। ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান সকলে।
মহিলাদের দাবি, ভোটের দিন বহিরাগতেরা ছাপ্পা ভোট দিতে এসেছিল। এলাকার মানুষ তা প্রতিরোধ করেন। দুষ্কৃতীদের হাতে কয়েকজন মার খেয়েছিলেন। পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে। তা না করে যাঁরা প্রতিরোধ করেছিলেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হল।
চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘‘যাঁরা ভোট লুট বন্ধ করলেন, তাঁদেরই প্রতিহিংসাবশত গ্রেফতার করা হল। অথচ যারা সন্ত্রাস করতে এসেছিল, তারা অধরা।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ভোটের দিন ওয়ার্ডের দু’টি বাড়িতে ভাঙচুর হয়। একটি স্কুটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ ছিল। বাসিন্দাদের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরভোটে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পার চেষ্টা হলে তৃণমূল আটকে দিয়েছিল। বাড়ি ভাঙচুর ও স্কুটিতে আগুন ধরানো হয়। যারা আইন হাতে তুলে নিয়েছিল, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে। আইন আইনের পথে চলবে।’’