নজরদারি: হাবড়ার রাস্তায়— নিজস্ব চিত্র
জয়গাছি এলাকায় আচমকা টোটোর সঙ্গে অটোর মুখোমুখি ধাক্কা লেগে জখম হয়েছিলেন কয়েকজন যাত্রী। পুলিশ জানতে পারে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত টোটো-অটোর চালকেরা হেডলাইট না জ্বালিয়েই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ অটো এবং টোটোটি আটক করে। দিন কয়েক আগের ঘটনা। হাবড়া শহরের যশোর রোড ধরে যে সমস্ত গাড়ি চলে তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ চালকই হেডলাইট জ্বালাচ্ছেন না। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা রুখতে চালকদের হেডলাইট না জ্বালানোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল হাবড়া ট্র্যাফিক পুলিশ। হাবড়ার ট্র্যাফিক ওসি দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাতে হেডলাইট না জ্বালিয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ২২টি টোটো এবং ১৫টি অটো আটক করা হয়েছে। গভীর রাতে ওই সব টোটো এবং অটো চালকদের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়। চালকেরা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর তাঁরা কখনও রাতে হেডলাইট না জ্বালিয়ে গাড়ি চালাবেন না। মৃন্ময়ী সরকার নামে এক তরুণীর কথায়, ‘‘একদিন রাতে হাবড়া স্টেশন থেকে টোটোয় বাড়ি ফিরছিলাম। চালক গাড়ির আলো না জ্বালিয়ে চালাচ্ছিলেন। বললাম সে কথা। চালক কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বললেন, ভয়ের কিছু নেই। চুপচাপ বসে থাকুন। গোটা রাস্তাটা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে ফিরতে হয়েছিল।’’ ইদানীং হাবড়া শহর এবং গ্রামাঞ্চলে হেডলাইট না জ্বালিয়ে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাবড়া পুলিশের তরফে ওই বিষয়ে চালকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে কয়েকদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছিল। অভিযোগ, এরপরেও কিছু চালকেরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গাড়ি চালাচ্ছেন। যশোর রোড ছাড়াও গৌরবঙ্গ রোড, জিরাট রোড, হাবড়া-বসিরহাট সড়ক, বদর রোডেও একই দৃশ্য। দেবব্রত বলেন, ‘‘যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। তাঁরা যেন গাড়িতে ওঠার সময়ে অবশ্যই দেখে নেন, গাড়ির হেডলাইট চালক জ্বালিয়েছেন কিনা। হেডলাইট না জ্বালালে তাঁরা যেন গাড়িতে না ওঠেন। প্রয়োজনে পুলিশকে খবর দিন।’’ কেন হেডলাইট জ্বালাতে অনীহা? পুলিশ জানায়, শহরে রাতে এখন পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামীণ এলাকাতেও রাস্তায় কমবেশি আলো রয়েছে রাস্তায়। টোটো ব্যাটারিতে চলে, অটো ডিজেলে চলছে। হেডলাইট জ্বালালে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়, ডিজেল বেশি পোড়ে।