হাঁসফাঁস: রাস্তার অবস্থা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
স্টেশন লাগোয়া রাস্তা। আর রাস্তা লাগোয়া নদী। তিন পথের যাত্রীদের ভিড়ে হিমসিম সকাল থেকে সন্ধ্যা। এমনটাই নৈহাটি স্টেশন চত্বরের চিত্র।
স্টেশনের গা ছুঁয়ে যাওয়া ঘোষপাড়া রোড পরিসরের তুলনায় যান চলাচল বেশি। পাশেই নতুন বাজার, অরবিন্দ রোডের বাজার। তার মধ্যে থেকে পা বাড়ালেই ফেরিঘাট। ছুটির দিন হোক বা কাজের দিন নৈহাটিতে ঘোষপাড়া রোডের ব্যস্ত চেহারাটা দেখলে নৈহাটির অন্য অংশগুলির সঙ্গে মেলানো মুশকিল। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে বেরোলেই রিকশা, অটো আর টোটোর স্ট্যান্ড সরু রাস্তায় ভাগ বসিয়েছে। ফেরিওয়ালা, ফুলের দোকান, হাওয়াই চটি থেকে চৈত্র সেলের বাজার— কি নেই রাস্তার দু’ধারে।
এর মধ্যেই রাস্তায় রিকশা, অটো আর হালের টোটোদের রমরমা। মুখোমুখি দু’টি বাস বা ট্রাক ঢুকলে তো অবস্থা আরও খারাপ। সেই জট কাটাতে পুলিশকে নাকানি চোবানি খেতে হয়। কাজের দিনে এমন অবস্থা হয় যে ব্যাঙ্কে যাওয়া টাকার গাড়ি ঢুকতে পারে না। স্কুলবাস আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ।
সম্প্রতি নৈহাটি স্টেশনের কাছে নদিয়া জুটমিলের পাশ থেকে ছাড়া বাসস্ট্যান্ডকে রেল লাইনের ও পাড়ে পাঠানোয় দূরপাল্লার বাসের ভিড়টা এড়ানো গিয়েছে এই যানজটের মধ্যে। কিন্তু তাতে সমস্যা পুরো কমেনি। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘বাজারের ভিড়টাও যাতে এড়ানো যায় তাই অরবিন্দ রোডের মুখে বসা দোকানদার পুরনো জায়গা থেকে সরানো হচ্ছে।’’
ঘোষপাড়া রোডেও স্টেশন ও ফেরিঘাটের যাওয়ার আশপাশে দখল হয়ে যাওয়া বাজার আর রিকশা, অটোর স্ট্যান্ড সরানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নর্দমার উপর কংক্রিটের স্ল্যাব ফেলে রিকশা স্ট্যান্ডকে পিছিয়ে রাস্তা ফাঁকা করছি। ঠাকুরপাড়ার পিছনে নতুন বাজারে অরবিন্দ রোডের হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। তা হলে ফেরিঘাটের রাস্তাটাও চওড়া হয়ে যাবে। নতুন বাজারকে পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।’’