রাত জেগে বাঁধ সারাই

জোয়ারের জল বেড়ে সোমবার দুপুরে প্লাবিত হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন লাগোয়া সর্দার পাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পর সোমবারেই রাত জেগে বাঁধ মেরামতির কাজ চলল ওই এলাকায়। সেচ দফতরের ঠিকাদারদের সঙ্গে শালবল্লা এবং মাটি-ভরা বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ করেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪০
Share:

জোয়ারের জল বেড়ে সোমবার দুপুরে প্লাবিত হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন লাগোয়া সর্দার পাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পর সোমবারেই রাত জেগে বাঁধ মেরামতির কাজ চলল ওই এলাকায়। সেচ দফতরের ঠিকাদারদের সঙ্গে শালবল্লা এবং মাটি-ভরা বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ করেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ৪ নম্বর মাধবকাটি আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলের সামনের বাঁধ বসে রায়মঙ্গল নদীর নোনা জল ঢুকতে শুরু করে। স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মেছোভেড়ি ভাসিয়ে সর্দারপাড়ার বেশ কিছু বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে জল। বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামতি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যান হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও-সহ ব্লকের আধিকারিকরা। রাত জেগে বাঁধ মেরামতির কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। ভাড়া করা হয় জেনারেটর। জোরালো আলো জ্বেলে বাঁধ মেরামতির কাজ চলে। হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘সর্দারপাড়ার বাসিন্দারা যে ভাবে সেচ দফতরের কর্তাদের পরিকল্পনায় বাঁধ বাঁধার কাজ করেছেন সেটি অনবদ্য। রাতের মধ্যে বাঁধ মেরামতি না হলে বড় ক্ষতি হতে পারত। এখন দরকার বাঁধের গোড়ায় মাটি ফেলে শক্ত করা।’’

সর্দারপাড়ায় বাঁধ মেরামতির কাজ প্রায় সফল হলেও এখনও সমস্যায় রয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকেরই সাহেবখালি পঞ্চায়েতের পুকুরিয়া এলাকা। সোমবার এখানে বাঁধ ভেঙেছিল। তার পর বাঁধ মেরামতি শুরু হলেও সেটি এখনও শেষ হয়নি। ওই এলাকার কয়েকটি চাষের জমি, পুকুর এখনও নোনা জলের নীচে। এখনও অনেক মানুষ বাঁধের উপরে রাত কাটাচ্ছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছে না বলেও ক্ষোভ রয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, বাঁধ সারাইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement