নিরাপত্তা: বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘুটিয়ারিশরিফ স্টেশনে মোতায়েন পুলিশ। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
বিশেষ ট্রেনে উঠতে চেয়ে বৃহস্পতিবার মল্লিকপুর স্টেশনে যাত্রীদের একাংশের বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছিল। শুক্রবার নতুন করে আর কোনও অবরোধ-বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিপত্তি এড়াতে এ দিন সোনারপুর, বারুইপুর-সহ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে আগামী সোমবার থেকে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী সোমবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে আরও ১০০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে স্থির হয়েছে।
বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা ২৫৯টি থেকে বাড়িয়ে ৩৫৯টি করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর। একই ভাবে হাওড়া ডিভিশনেও বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা ১৫৪টি থেকে বাড়িয়ে ২১৪টি করা হচ্ছে।
রেল কর্তাদের দাবি, যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়লেও তা চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল হতে পারে বলে আশঙ্কা আধিকারিকদের একাংশের। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব লোকাল ট্রেন চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন
তাঁরা।
লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার অনীত দুলাট।
এ দিন বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে আরপিএফ ছাড়াও জিআরপি কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টেশনে ঢোকার পথে যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
তবে আপাতত যাত্রীদের বিক্ষোভ সামাল দেওয়া গেলেও রেল কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতিকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, জীবিকার প্রয়োজনে যে ভাবে বহু মানুষকে বাড়ির বাইরে যেতে হচ্ছে, তাতে এমন বিক্ষোভের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ফের হতেই পারে। ফলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।