ঠাকুরনগর থেকে গোবরডাঙা পর্যন্ত রাস্তার হাল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
ডোবা না সড়ক!
গাইঘাটার ঠাকুরনগর থেকে গোবরডাঙার জামদানি পর্যন্ত প্রায় কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি দেখে ভুল হতেই পারে। কেননা, বৃষ্টির জল জমে ওই সব গর্ত বর্তমানে ডোবার চেহারা নিয়েছে। আর তা পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন অনেকে।
দু’বছর আগে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু তখনই নিম্নমানের মালপত্র দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, এই অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা সংস্কারকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে জেলা পরিষদ থেকে বাস্তুকারেরা গিয়ে এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে রাস্তার কাজ শেষ করেন। কিন্তু দু’বছর পেরোতেই রাস্তার হাল দেখে অনেকেই মনে করছেন, এ ভাবে সরকারি টাকার অপচয় হল। রাস্তাটি বেশিদিন টিকল না।
গাইঘাটার বিডিও বিরাজকৃষ্ণ পাল বলেন, ‘‘রাস্তার বিষয়ে জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে। বর্ষার পরই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে বলে তারা জানিয়েছে।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা রাস্তার বিষয়ে জানিয়েছেন। সমীক্ষার পরেই কাজ শুরু করা হবে।’’
একে তো ওই সড়কে আলো না থাকায় রাতে যাতায়াতে মানুষের সমস্যা হয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত মোটরবাইক চালিয়ে গোবরডাঙা যাতয়াত করেন বনগাঁর বাসিন্দা মুসা আলি শেখ। তিনি জানান, দিন দিন রাস্তার হাল খারাপ হচ্ছে। জল জমে যাওয়ায় বাইক চালাতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। বুধ ও শনিবার চাষিরা ওই সড়ক দিয়ে সব্জি নিয়ে ঠাকুরনগর হাটে যান। মধুসূদনকাটি এলাকার চাষি বাসুদেব ঘোষ বলেন, ‘‘রাস্তা এতটাই খারাপ যে সব্জি হাটে নিয়ে যেতে পারছি না। পরিবহণ খরচ বেড়ে যাচ্ছে। রাস্তায় সব্জির ভ্যান উল্টে পড়ছে।’’