Bhangar Harassment

গ্রিন অটো চালাতে বাধা, অভিযোগ জমি কমিটির বিরুদ্ধে

অভিযোগ, রুট পারমিট পেয়েও ভাঙড়ের জমি কমিটি ও পুরাতন ডিজেল চালিত কালো অটোচালকদের বাধায় তাঁরা নতুন অটো চালাতে পারছেন না।

Advertisement

সামসুল হুদা 

ভাঙড় শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরিবেশের স্বার্থে পাওয়ার গ্রিডের চাই না— আন্দোলনে মানুষকে এ কথাই বলেছিল ‘জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা’ কমিটি। সেই কমিটির বিরুদ্ধেই এ বার পরিবেশ বিধিভঙ্গে মদত দেওয়ার অভিযোগ করছেন অটোচালকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, রুট পারমিট থাকা সত্ত্বেও কমিটি পরিবেশ বান্ধব গ্রিন অটো চালাতে বাধা দিচ্ছে। কমিটির ব্যাখ্যা, গ্রিন অটো চালু হলে জীবিকা নষ্ট হবে পুরনো অটোচালকদের।

Advertisement

ভাঙড় ২ ব্লকের ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া থেকে বোয়ালঘাটা, পাকাপোল বাজার থেকে বোয়ালঘাটা দু’টি অটো রুট চালু হয়েছে। ওই দুটি রুট চালু হওয়ার পর অনেকেই সরকার অনুমোদিত পরিবেশবান্ধব গ্রিন অটো কিনেছেন। তাঁদেরই একাংশের অভিযোগ, রুট পারমিট পেয়েও ভাঙড়ের জমি কমিটি ও পুরাতন ডিজেল চালিত কালো অটোচালকদের বাধায় তাঁরা নতুন অটো চালাতে পারছেন না। অটোচালকদের অভিযোগ, রুট পারমিট থাকা সত্ত্বেও অটো চালাতে না পেরে আর্থিকভাবে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। আনোয়ার আলি মোল্লা নামে এক গ্রিন অটোচালক বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে অটো কিনেছি। রুট পারমিট থাকা সত্ত্বেও আমাদের অটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। পুরনো অটোচালকরা ও জমি কমিটি আমাদের অটো চালাতে বাধা দিচ্ছে।’’

আনোয়ারের কথায়, ‘‘অটো চালাতে না পেরে ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ভাবে অটো বসিয়ে রাখায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, ‘‘ওই রুটে দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু বেকার যুবক অটো চালিয়ে নিজেদের জীবন জীবিকা চালাচ্ছেন। হঠাৎ করে তাদের অটো চালানো বন্ধ করে দিলে তারা খাবে কী।’’ কমিটির নামের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ। তা ছাড়া পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনেরও তো অন্যতম বিষয় ছিল পরিবেশ। তা হলে কেন পরিবেশবান্ধব অটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না? এ বার মির্জার ব্যাখ্যা, ‘‘গ্রিন অটো চালাতে দিতে আমাদের অসুবিধা নেই। তবে উভয় অটোচালকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হোক।’’

ডিজেল চালিত কালো অটো ইউনিয়নের সভাপতি নাজির মোল্লাও কাজ হারানোর কথা বলছেন। নাজির বলেন, ‘‘হঠাৎ করে যদি অটো চালাতে বন্ধ করতে বলা হয় তাহলে গরিব ছেলেগুলো যাবে কোথায়। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত জমি কমিটি আমাদের অটো চালাতে বলেছে।’’ গ্রিন অটোচালক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নিজামউদ্দিন জানান, রুট পারমিট পাওয়ার পরেও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। গাড়ি চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘একটি বিষয় নজরে এসেছে। আমি দুই অটো ইউনিয়নকে ডেকেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement