হাতা-খুন্তি নিয়ে তৈরি থাকুন মহিলারা, ‘পরামর্শ’ গৌতমের

উপনির্বাচনে তৃণমূলকে রুখতে প্রতিরোধের ডাক দিলেন সিপিএমের বর্যীয়ান নেতা তথা দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি গৌতম দেব। মঙ্গলবার হাসনাবাদের তালতলা বাজারে জনসভায় গৌতমবাবু বলেন, ‘‘লাঠিতে ঝান্ডা বেঁধে আনবেন। গুন্ডামি করতে এলে ওই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তৃণমূলের লোকজনকে ব্রেকফাস্ট করে দেবো।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:০৭
Share:

আক্রমণাত্মক মেজাজে। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

উপনির্বাচনে তৃণমূলকে রুখতে প্রতিরোধের ডাক দিলেন সিপিএমের বর্যীয়ান নেতা তথা দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি গৌতম দেব।

Advertisement

মঙ্গলবার হাসনাবাদের তালতলা বাজারে জনসভায় গৌতমবাবু বলেন, ‘‘লাঠিতে ঝান্ডা বেঁধে আনবেন। গুন্ডামি করতে এলে ওই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তৃণমূলের লোকজনকে ব্রেকফাস্ট করে দেবো।’’ মহিলাদের সব সময়ে ‘সজাগ’ থাকার পরামর্শ দিয়ে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘মা-বোনেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। হাতা, খুন্তি, দা— হাতের কাছে যা পাবেন, প্রয়োজনে তা নিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। বহিরাগতদের দেখলে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিন।’’

নবান্ন অভিযান থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যে সিপিএম ফের ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ চাইছে বলে দলের কর্মীদের মধ্যেই উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। যাকে ধরে রাখতে লাগাতার নানা আন্দোলন কর্মসূচিও নিচ্ছে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই গৌতমবাবু শাসক দলকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন বলে মনে করছে দলেরই একটি একাংশ। গত এক বছর ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের জাহাঙ্গির আলম। ওই আসনেই উপনির্বাচন হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গৌতমবাবু আরও বলেন, ‘‘এখানে পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতিকে দুষ্কৃতীরা নৃশংস ভাবে খুন করেছিল। রাজ্যের মানুষ এই আসনটির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ভোটবাক্সে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের যোগ্য জবাব দিতে হবে।’’

Advertisement

বসিরহাট ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানে সিপিএম এবং কংগ্রেসের জোট গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠন করে প্রার্থী দিয়েছে। ওই প্রার্থীর সমর্থনে এ দিন স্থানীয় চাঁপাপুকুরের রাজাপুর বাজারে সভা হয়। সেখানে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা বক্তৃতা করেন। পঞ্চায়েত সমিতিটিতে বামফ্রন্ট একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও কংগ্রেসের সমর্থনে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সভাপতি হন। পরবর্তিতে সিপিএমের একজন ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই ২৩ নম্বর আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে।

রাজাপুর বাজারে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এখানে কংগ্রেস কিংবা সিপিএম নয়, গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষের জোট হয়েছে। নির্ভয়ে ভোট দিন। মনে রাখতে হবে, কিছুতেই ময়দান ছাড়া চলবে না। প্রয়োজনে তৃণমূলের গুন্ডাদের রুখে দিতে হবে।’’ যুব কংগ্রেস নেতা পলাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এখানে আমরা গৌতমবাবুর নেতৃত্ব শিলিগুড়ি মডেলে ভোট করে শাসক দলকে দেখিয়ে দিতে চাই, বেশি দিন মানুষ অত্যাচার সহ্য করে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement