পরিষ্কার: ট্রেনের কামরায় চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় এ বার দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশি লোকাল ট্রেনেও সাফাই অভিযান শুরু করল রেল দফতর। মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো শহরে লোকাল ট্রেনগুলিকে ডিটারজেন্ট, লিকুইড সোপ ও রাসায়নিক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে। সেই মডেলেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় এই কাজ শুরু হয়েছে।
রেল দফতর সূত্রের খবর, শুধুমাত্র শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা নয়, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সমস্ত লোকাল ট্রেনগুলিকে দিনে একবার ঝাড়পোছের পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন অন্তিম স্টেশনে ও ট্রেন ডিপোতে যেখানে রাতে ট্রেনগুলি থাকে, সেখানেই সাফাই কর্মীরা ট্রেনের কামরাগুলিকে ঝাড়ু দেওয়ার পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, লিকুইড সোপ, ফিনাইল ও ব্যাক্টেরিয়ানাশক রাসায়নিক দিয়ে কামরা পরিষ্কার করছেন। তদারক করছেন আরপিএফ কর্মীরা।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের অন্তিম স্টেশন ক্যানিংয়ে তিনটি ট্রেন থাকে। রাত ১২টা থেকে সাফাই কর্মীরা সেই ট্রেনগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেন। আগে শুধুমাত্র ঝাড়ু দেওয়া হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার থেকেই ট্রেনের হাতল, বসার সিট, বাঙ্কার-সহ যে সমস্ত জায়গা মানুষের শরীরের স্পর্শে আসে, প্রতিটি কামরার সেই জায়গাগুলিকে সাবান, ডিটারজেন্ট ও রাসায়নিক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে বলে রেল দফতর জানিয়েছে। স্টেশন চত্বরে রেল দফতরের উদ্যোগে করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করতে লাগানো হয়েছে পোস্টার। স্টেশনগুলিতে মাইকে চলছে সচেতনতামূলক প্রচার। ক্যানিং স্টেশন ম্যানেজার তমালতরু ঢালি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই আমাদের স্টেশনে রাতে যে তিনটি ট্রেন থাকে, সেগুলির কামরাগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।’’
দক্ষিণপূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “গত কয়েক দিন ধরেই লোকাল ট্রেনে কাজ চলছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে এই কাজ করা সম্ভব নয়, তাই রাতে ট্রেনগুলি যে যে স্টেশনে থাকে, সেখানে এবং ট্রেন ডিপোতে লোকাল ট্রেনের কামরাগুলির ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
রেলের এই উদ্যোগে খুশি নিত্যযাত্রীরা। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ফারুক সর্দার বলেন, “ভাইরাস মোকাবিলায় রেলের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।’’ একই বক্তব্য রবি মণ্ডল, মিনতি পুরকাইতদেরও।