সচেতন: প্রসব বিভাগের সামনে ভিড় রোগীদের। নিজস্ব চিত্র
ব্লক হাসপাতাল থেকে ২০০৬ সালে মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। সেই থেকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে প্রসবের উপরে জোর দিয়ে আসছে মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর। আগে গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষই ভরসা করতেন বাড়িতে প্রসবের উপরে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকত। সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শের অভাবে প্রসূতি ও সদ্যোজাতের মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি ছিল। হাসপাতালে প্রসব বাড়াতে স্বাস্থ্যভবন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় লাগাতার প্রচার, একাধিক সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারই ফল মিলতে শুরু করেছে।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে ৭০৯টি প্রসব হয়েছে এই হাসপাতালে, যা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্বকালের রেকর্ড বলে জানানো হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, আগে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০-৪৫০ সন্তান প্রসব হত। গত দু’মাসে সংখ্যাটা বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ৬০৫টি শিশু জন্ম নেয় এই হাসপাতালে। অক্টোবরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৭০৯ হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৪৮৩টি, সিজার হয়েছে ২২৬টি।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং ১, ক্যানিং ২-সহ আশপাশের এলাকার বহু মানুষ প্রসবের জন্য হাসপাতালের উপরে ভরসা করছেন। বেশিরভাগ পরিবারই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের হাসপাতালে নিয়ে আসায় খুশি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার বলেন, ‘‘অক্টোবর মাসে প্রসবের এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ। মানুষ সচেতন হচ্ছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, ‘‘মা ও সন্তান দু’জনের জন্যই হাসপাতালে প্রসব অনেক বেশি নিরাপদ। মানুষ তা বুঝতে শুরু করেছেন। তাই এক মাসে এত সংখ্যক শিশুর প্রসব সম্ভব হয়েছে এখানে।’’