বিদ্যাধরীতে মিলল তৃণমূল কর্মীর দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
দিন দুয়েক আগেই তাঁকে যে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যাধরীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তা পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন তৃণমূল নেতা গফ্ফর মণ্ডলের (৩৫) বন্ধু রবিউল মণ্ডল। শনিবার গফ্ফরের ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল দক্ষিণ ঘোনার জগপুর গ্রামের কাছে। এ দিন দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে গফ্ফরের দেহ উদ্ধারের পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা হামিদ বিশ্বাসের ভেড়ির আলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় শাসক দলের সমর্থকেরা। কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন কর্মীর বাড়িতে আগুনও লাগানো হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় শুরু হয়েছে র্যাফের টহলদারি। পুলিশ জানায়, বসিরহাট থানার ঘোড়ারাস গ্রামে বাড়ি আবদুল গফ্ফর মণ্ডলের। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সঙ্গী রবিউলকে নিয়ে তিনি মোটরবাইকে হাড়োয়ার আমতাখাগড়া বাজারে যান। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। ভোর রাতে ফেরার সময় জনা দশেক দুষ্কৃতী আচমকাই তাঁদের পথ আটকায়। শুরু হয় বোমাবাজি। সঙ্গে গুলি। বাকিরা পালিয়ে গেলেও আটকে পড়েন গফ্ফর ও রবিউল। আহত রবিউল একটি পাঁচিলের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। রবিউল জানান, গফ্ফরকে সেই সময়ে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যাধরীতে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।
দুর্ঘটনায় মৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হল শুক্রবার। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি স্টেশনের কাছে ঘোষপাড়া রোডে মালগপদামের কাছে। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ কাঁচরাপাড়া নতুন পল্লির বাসিন্দা মোটর বাইক আরোহী গণেশ পাসোয়ান (৩৫) মিনিট্রাকের ধাক্কায় মারা যান। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ব্যারাকপুর ওয়্যারলেস মোড়ের কাছে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় মোহনপুরের বাসিন্দা জয় সরকারের (২৩)।
খালে পড়ে মৃত্যু
সাইকেল নিয়ে সাঁকো পেরোতে গিয়ে খালে পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে খানাকুলের রাধানগর গ্রামের কাছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রথীকান্ত মৈত্র (৩৫)। বাড়ি পূর্ব রাধানগর গ্রামে। বালি বাজার থেকে তিনি বাড়ি ফেরার পথে সাইকেল নিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান। স্থানীয় মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে পুড়শুড়ার শ্রীরামপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য আরামবাগ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, জখম ৫
তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল বারাসতের কাছে দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের কাঠহোর রোডে। ঘটনাটি শুক্রবারের। এলাকার নির্মীয়মাণ ক্লাব কাদের দখলে থাকবে, বাড়ি তৈরির সরঞ্জাম কারা সরবরাহ করবে প্রথমে হাতাহাতি হয়। তার জেরে রাতে তৃণমূল ও বিজেপি-র গোলমাল বাধে। মারপিটে জখম দু’দলের ৫ জনকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা বিজেপির সহকারী সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “তৃণমূল সমর্থকেরা আমাদের দু’জনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারধর করেছে।” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, “বিজেপিই আমাদের সমর্থকদের মারধর করেছে।”
হাবরা থানায় ভাইফোঁটার আয়োজন। ছবি: বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী।