টুকরো খবর

সিন্ডিকেট নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হলেন চার জন। মঙ্গলবার, ভাঙড়ের গাজিপুরে। গ্রেফতার হয়েছে কালু মোল্লা, আজিম মোল্লা, সাদামণি মোল্লা, ইমরান আলি মোল্লা নামে চার যুবক। অন্যতম অভিযুক্ত, পলাতক মোস্তাফা মোল্লার বাড়ি থেকে মিলেছে ১৫টি বোমা, ১টি বন্দুক ও ৮টি গুলি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০১:০৭
Share:

সিন্ডিকেট-বিবাদে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গ্রেফতার চার

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

সিন্ডিকেট নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হলেন চার জন। মঙ্গলবার, ভাঙড়ের গাজিপুরে। গ্রেফতার হয়েছে কালু মোল্লা, আজিম মোল্লা, সাদামণি মোল্লা, ইমরান আলি মোল্লা নামে চার যুবক। অন্যতম অভিযুক্ত, পলাতক মোস্তাফা মোল্লার বাড়ি থেকে মিলেছে ১৫টি বোমা, ১টি বন্দুক ও ৮টি গুলি। পুলিশ জানায়, কিছু দিন ধরে একটি প্রকল্পে মাটি ফেলা, মাল সরবরাহ নিয়ে ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা আরাবুল ইসলাম, তাঁর ছেলে ও ভাইয়ের সঙ্গে বিবাদ চলছিল মোস্তাফা, কালু ও আজিমের। তারা এলাকার তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেনের অনুগামী বলে পরিচিত। মঙ্গলবার আরাবুলের ভাইপো হাবিবুর মোল্লা বন্ধুদের সঙ্গে ফিরছিলেন। অভিযোগ, ধৃতেরা বোমা ছুড়লে জখম হন হাবিবুর। অভিযোগ, এ কথা জেনে আরাবুল অনুগামীরা মোস্তাফা, আজিম ও সাদামণিদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। জখম হন আরাবুলের অনুগামী বলে পরিচিত চার ব্যক্তি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্‌সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। আরাবুল বুধবার বলেন, “মোস্তাফা, কালুরা নানা দুষ্কর্মে যুক্ত। বহু দিন ধরে আমাকে ও পরিবারের অন্যদের খুনের পরিকল্পনা করেছে। তাই ওরা আমার ভাইপোকে বোমা মারে। সে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে। স্থানীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে না বেরোলে মেরে দিত। ওদের মারে আমাদের চার জন জখম হন।” নান্নু হোসেনের অবশ্য দাবি, “এই ঘটনায় রাজনীতির যোগ নেই। তোলাবাজি, টাকা ভাগাভাগি নিয়েই গোলমাল। টাকা ভাগের সময়ে ওরা এক দলে। এই ঘটনায় আমি বা আমার দল কোনও ভাবে যুক্ত নয়। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে বোঝা যাবে।”

Advertisement

গাছ কাটতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা

গাছ কাটতে উঠে কোমরে বাঁধা দড়ি খুলে যাওয়ায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার সকালে দেগঙ্গার কুড়ুলগাছা গ্রামে ওই ঘটনায় মৃতের নাম সৈয়দ আলাউদ্দিন (৩৮)। তাঁর বাড়ি চাকলা পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামে। এ দিন ওই দুর্ঘটনার পরে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বাধা পায় পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার সুবর্ণপুর থেকে কলসুর চারুলতা পর্যন্ত প্রায় ন’কিলোমিটার রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরির কাজ হচ্ছে। সেই জন্য ওই রাস্তায় গাছ কাটা হচ্ছে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে। ঠিকাদারের হয়ে এ দিন সেই কাজই করতে গাছে উঠেছিলেন সৈয়দ ও তাঁর লোকেরা। তৃণমূল নেতা সফর আলির অভিযোগ, ‘‘সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান অবৈধ ভাবে টেন্ডার করে ঠিকাদারকে দিয়ে তড়িঘড়ি গাছ কাটতে যাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল।’’ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে চাকলা পঞ্চায়েতের প্রধান কোহিনুর বেগম বলেন, ‘‘রাস্তার প্রয়োজনে সব গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। পরে কয়েকটা গাছ যে কাটা বারণ, সে বিষয়ে আমার কাছে আর লিখিত নির্দেশ আসেনি।’’ বিডিও মানসকুমার মণ্ডল জানান, গাছ কাটা বন্ধের জন্য বলা সত্ত্বেও কেন কাটা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল নীলরতন বাগচি নামে এক ব্যক্তির। বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ২ বিচারক নীলাঞ্জন দে ওই নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ মে গভীর রাতে গোপালনগর থানার কল্যাণপুরের বাসিন্দা নীলিমা বাগচিকে বাড়িতেই ঘুমের মধ্যে গলা টিপে খুন করে তাঁর স্বামী। খুন করার পরে বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে চিত্‌কার করে ওই ব্যক্তি। প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তবে ডাকাতির গল্প সাজিয়ে কোনও লাভ হয়নি। কারণ, প্রতিবেশীরা চেপে ধরায় তখনই নীলরতন সব কথা স্বীকার করে বলে জানান এই মামলার সরকারি আইনজীবী নিতাইপদ সাহা। মেয়ের বাবা কিরণচন্দ্র রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৩০ মে নীলরতনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, নমিতা মজুমদার নামে এক মহিলার সঙ্গে নীলরতনের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা নীলিমা জানতে পেরেছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় নীলরতন তাঁকে খুন করে। এ দিন নমিতাদেবীকে অবশ্য বিচারক খালাস করেছেন।

বয়ান বদলে মামলা ‘লঘু’ করায় অভিযুক্ত পুলিশই

নিজস্ব সংবাদদাতা • মগরাহাট

বছর বারোর এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। কিন্তু পরের দিনই জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কেন? ওই কিশোরীর বাড়ির অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাটিকে ‘লঘু’ করে দেখানোয় জামিন পেয়েছেন অভিযুক্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট-২ এলাকার মোহনপুরের বাসিন্দা ওই যুবক শাসক দলের স্থানীয় এক নেত্রীর দেওর। ওই নেত্রী মগরাহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কিশোরীর পরিবারের দাবি, স্থানীয় তৃণমূলের চাপেই মেয়েটির বয়ান বদল করে পুলিশ যে মামলা রুজু করেছিল তাতে মামলাটির গুরুত্ব লঘু হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই যুবকের দাদা কলকাতা পুলিশের কর্মী। তিনিও এ ব্যাপারে স্থানীয় থানাকে প্রভাবিত করেছে বলে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বুধবার, জেলা পুলিশ-প্রশাসনের পদস্থ কতার্দের কাছে এ ব্যাপারে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছে কিশোরীর পরিবার। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসককেও ডাকযোগে লিখিত ভাবে সে আর্জি জানিয়েছে মেয়েটি নিজেই। ফলতার ডিএসপি লাল্টু হালদার এ ব্যাপারে আস্বস্ত করেছেন, “বিষয়টি অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।” মেয়েটির দাবি, ৫ মার্চ ওই যুবক তাদের বাড়িতে ঢুকে তার শ্লীলতাহানি করে। তার চিৎকারে পড়শিরা এসে ধরে ফেলেন ওই যুবককে।

যুবকের দেহ উদ্ধার

মাফলারের ফাঁস লাগানো এক অজ্ঞাত যুবকের দেহ উদ্ধার করল গোবরডাঙার ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ স্থানীয় গড়পাড় এলাকায় শ্রী চৈতন্য বিদ্যালয়ের পিছনে একটি গাছের ডাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন মৃতের পা মাটিতে ঠেকানো ছিল। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement