নিজস্ব চিত্র
বাড়ি ফিরলেন কাবুলে আটকে পড়া অশোকনগরের বাসিন্দা অজয় মজুমদার। তার চোখে মুখে এখনও লেগে আতঙ্কের ছাপ। কোনওমতে ফিরতে পেরেছেন, এর জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
কাজলা গ্রামের বাড়ি ছেড়ে পেটের তাগিদে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন অজয়। কাবুলে আমেরিকার সেনার ক্যান্টিনে কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু পাঁচ মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ক্ষমতা দখল করে তালিবান। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চারিদিকে তালিবানি শাসনের ঘেরাটোপের মধ্যে কার্যত বন্দি হয়ে পড়েন তিনি। যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বেগ বাড়ে পরিবারেরও। অজয় বলছেন, ‘‘মাঝে মধ্যেই বোমাগুলির শব্দে ভয়ে আঁতকে উঠতাম। তবে বিশ্বাস ছিল, বাড়ি ফিরবই। শেষ দু’মাস ধরে এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই শুনলাম কাবুল দখল করেছে তালিবান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। কিন্তু পরিবারের কাছে ফেরার তাগিদ তখনও আমার মনের জোর বাড়িয়েছিল।’’
অজয় জানিয়েছেন, কাবুল থেকে উদ্ধার করার পর তাঁদের প্রথমে কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আনা হয় দিল্লিতে। সেখান থেকেই সোমবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। অজয় ফেরায় হাতে চাঁদ পেয়েছেন তাঁর মা-বাবা। মা অর্চনা মজুমদার বলছেন, ‘‘ওকে আর আফগানিস্তান যেতে হবে না। দেশে থেকে থেকেই যা করার করুক।’’ অভয়ের মতোই বাড়ি ফিরেছেন গোপালনগরের তিন জন। ঘরের লোক ঘরে ফেরায় তাঁদেরও পরিবারও স্বস্তি পেয়েছে। অজয়ের মতোই গোপালনগরের পাল্লা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিশ্বাস ও পলাশ সরকার এবং রঘুনাথপুরের বাসিন্দা প্রবীর সরকার সেনার ক্যান্টিনে কাজ করতেন। তাঁরাও সোমবার গভীর রাতে ফিরেছেন বাড়িতে।