পুলিশের নজরে ৩০ ভুয়ো দন্ত চিকিৎসক

গত বছরেই এ রাজ্যে শিশু পাচারের তদন্তে নেমে সিআইডি দুই ২৪ পরগনা থেকে কয়েক জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

তাঁদের ডাক্তারির বৈধ ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা নেই। নেই ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশনও। সে সবের তোয়াক্কা না করেই নার্সিংহোম থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত চেম্বারে দিব্যি তাঁরা রোগী দেখে বেড়াচ্ছিলেন। বারাসত মহকুমার এমন ৩০ জন ভুয়ো দাঁতের ডাক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

Advertisement

গত বছরেই এ রাজ্যে শিশু পাচারের তদন্তে নেমে সিআইডি দুই ২৪ পরগনা থেকে কয়েক জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল। এর পরে ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া-র তরফে কয়েক জন সন্দেহভাজন দাঁতের ডাক্তারের তালিকা দেওয়া হয় সিআইডি-কে। মাস তিনেক আগে ওই জেলা থেকেই সিআইডি-র হাতে ধরা পড়ে আরও কয়েক জন ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার। পুলিশ সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর যে ৩০ জনের নামের তালিকা দিয়েছে, তার মধ্যে কয়েক জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

জেলার সদ্য প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রলয় আচার্যের কথায়, ‘‘অভিযুক্ত ভুয়ো ডাক্তারদের লেখা প্রেসক্রিপশন আমরা পুলিশকে দিয়েছি। তার অনেকগুলিতে রেজিস্ট্রেশন নম্বরই নেই। কারও আবার ভুয়ো নম্বর লেখা। অথচ তাঁরা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে চেম্বার খুলে বসে রোগী দেখছেন! বারাসত ও হাসনাবাদের দুই ভুয়ো ডাক্তার আবার নার্সিংহোমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।’’

Advertisement

ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম জেলা জুড়ে যে সব ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার রোগীদের ঠকাচ্ছে তারা ধরা পড়ুক। অভিযুক্তেরা ধরা পড়লে খুশি হব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement