হাবড়ায় ডেঙ্গিতে ছাত্রী-সহ মৃত দুই

ডহরথুবার বাসিন্দা সুমিত্রা সেন (৪১) গত বৃহস্পতিবার জ্বরে আক্রান্ত হন। শুক্রবার তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবড়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০৮
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

হাবড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের এক জন কলেজ-ছাত্রী। অন্যজন ৪১ বছরের মহিলা। শনিবার রাতে দু’জন মারা যান। হাবড়া-অশোকনগর এলাকায় এ বছর ডেঙ্গিতে ন’জনের মৃত্যু হল।

Advertisement

ডহরথুবার বাসিন্দা সুমিত্রা সেন (৪১) গত বৃহস্পতিবার জ্বরে আক্রান্ত হন। শুক্রবার তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখানেই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি বলে শংসাপত্রে লেখা হয়েছে।

বছর দেড়েক আগে সুমিত্রার স্বামী সন্তোষ মারা গিয়েছেন। একটি টোটো ভাড়ায় খাটিয়ে তাঁর সংসার চলে। ছেলে সুমিত দশম শ্রেণিতে পড়ে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিতও কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি ভর্তি আছে। মায়ের মৃত্যুর খবর তাঁকে জানানো হয়নি। আত্মীয়রা রবিবার সুমিত্রার শেষকৃত্য করেছেন।

Advertisement

আক্রামপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতা সিকদার শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বারাসত জেলা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। অঙ্কিতা হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজে ইংরেজি অর্নাসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা হয়েছে, ‘ফিভার উইথ সেপটিক শক।’ অঙ্কিতার বাবা অপূর্ব সিকদার বলেন, ‘‘অ্যালাইজা পরীক্ষায় মেয়ের ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল।’’

গত কয়েকদিনে পর পর এতজনের মৃত্যুতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রবিবার হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গি পরিস্থিতি দেখতে আসেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীরা তাঁদের জানান, ওয়ার্ডের পিছনে আবর্জনা পড়ে থাকে। জানলা খোলা থাকায় সেখান থেকে ওয়ার্ডে মশা ঢুকছে। পরে সুজন বলেন, ‘‘হাসপাতাল চিকিৎসার জায়গা। অথচ এখানেই মশার আঁতুড়ঘর। রাজ্য সরকার সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করুন। আমরা সহযোগিতা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement