—প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, তিন সন্তান। সরকারি সুবিধার লোভে পরিচয় গোপন করে দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ৩৫ বছরের এক যুবক। উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় গণবিবাহের আসরে হাজির হয়েছিলেন সালেমপুর গ্রামের বাসিন্দা কপিল কুমার। সেখানেই তিনি ২৪ বছরের প্রিয়ঙ্কা রানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ আসে যে, কপিল বিবাহিত। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। সোমবার তিন সন্তানের জনক কপিল এবং প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুরোদস্তুর সংসারী কপিল কেন হঠাৎ করে দ্বিতীয় বার বিয়ে করার জন্য গণবিবাহে অংশ নিতে গেলেন? কপিল জানান, সরকারি প্রকল্পের আওতায় বিয়ের সুবিধা দাবি পেতেই তিনি এই কাজ করেন। বিবাহের উপহার হিসাবে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা নবদম্পতিদের ৫১ হাজার টাকা অর্থসাহায্য তুলে দেওয়া হয় সরকারের তরফে। এ ছাড়াও থাকে রান্নাঘরের বাসনপত্র এবং গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কপিল কবুল করেছেন, আসল বর উপস্থিত না হওয়ায় কনের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে বিয়ের মণ্ডপে বসার অনুরোধ করা হয়। কপিল জানিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর পরিবারকে আগে থেকেই চিনতেন তিনি। বিয়ের পর তাঁরা সরকারি সুবিধার টাকা ভাগাভাগি করে নিতেন বলে স্বীকার করেছেন জালিয়াতিতে অভিযুক্ত তরুণ।
জেলা সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক পাংখুরি জৈন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক প্রত্যেক আবেদনকারীর পরিচয় যাচাই করে তবেই এই প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেন। তার পরই আবেদনকারীরা সরকারি সুবিধা পান। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। এই ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সচিবকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি হস্তক্ষেপে বিয়ে করে টাকা পাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল কপিলের। জালিয়াতির অভিযোগে আপাতত শ্রীঘরে যাওয়ার অপেক্ষা তরুণ-তরুণীর।