শাপে বর। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্ষেত্রে নাকি কথাটা একেবারে খেটে গিয়েছে দু’ম্যাচের নির্বাসনে। তাঁর বাঁ হাঁটুর চোটের যা অবস্থা, এই বিশ্রামটা প্রচণ্ড প্রয়োজন ছিল। এতটাই যে, দু’ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে রোনাল্ডো পুরো ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। স্প্যানিশ মিডিয়ায় সে রকমই জল্পনা।
লা লিগায় গত সপ্তাহে কর্ডোবা ম্যাচে বিপক্ষ প্লেয়ারকে লাথি মারায় লাল কার্ড দেখেন সিআর সেভেন। কর্ডোবার আরও দু’জনকে ঘুষি মারার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু রেফারি রিয়াল মহাতারকার ঘুষি মারার কথা উল্লেখ করতে ভুলে যান। ফলে আরও কড়া শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যান রোনাল্ডো। রিয়ালের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি শুক্রবার বলেন, “রোনাল্ডো স্বীকার করেছে ও ভুল করেছে।” কিন্তু তাতেও দুশ্চিন্তা যাচ্ছে কোথায়! ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে পতুর্গিজ মহাতারকাকে ভুগিয়ে যাচ্ছে হাঁটুর চোট। যে জন্য প্রচুর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। যার প্রভাব পড়ছে রোনাল্ডোর চলতি মরসুমে পারফরম্যান্সেও। এখনও পর্যন্ত রোনাল্ডো তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসির তুলনায় সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে গোল করায় এগিয়ে আছেন। মেসির চলতি মরসুমে গোল ৩১। রোনাল্ডোর ৩৬। তবে এর বেশির ভাগ গোলই কিন্তু এসেছে মরসুমের গোড়ায়, যখন তিনি আগুনে ফর্মে ছিলেন।
ক’য়েক সপ্তাহ আগেই রোনাল্ডো টানা তিন ম্যাচে গোল না করায় চাপের মুখে পড়ে ফিটনেসের দোহাই দিয়েছিলেন। তাই সিআর সেভেন চাইছেন হাঁটুর চোটের আগে তাঁর যে রকম ফিটনেস ছিল সেই জায়গায় যত দ্রুত সম্ভব ফিরতে। তার জন্য আবার গোটা শরীরের ডাক্তারি পরীক্ষাও নাকি করিয়েছেন। রোনাল্ডোর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে নাকি জানা গিয়েছে চোট থেকে বাঁচতে রোনাল্ডো এখন খেলার স্টাইলও পাল্টে ফেলেছেন। কিন্তু তার পরও তাঁর পারফরম্যান্সের জন্য যে ন্যূনতম ফিটনেস প্রয়োজন সেই জায়গায় তিনি পৌঁছতে পারছেন না। যার প্রথম কারণ যদি রোনাল্ডোর হাঁটুর চোট হয়, দ্বিতীয় কারণ ক্লান্তি। চলতি মরসুমে রিয়ালের হয়ে মাঠে সবচেয়ে বেশি কাটানো প্লেয়ারদের তালিকায় পর্তুগিজ মহাতারকা দু’নম্বরে আছেন। মোট ২৬০০ মিনিট তিনি এ মরসুমে মাঠে কাটিয়েছেন। তালিকায় এক নম্বরে থাকা টনি ক্রুজ কাটিয়েছেন ২৬৪৮ মিনিট।