কোর্টে আছাড় খেয়েও সহজ জয় জকোভিচের

উইম্বলডনের রাজা রজারের দুই আসল শত্রু বিপদে! শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ কোর্টে। সদ্য নবম বার ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল কোর্টের বাইরে। জকোভিচ এ দিন ফ্রান্সের গিলেস সিমনকে ৬-৪, ৬-২, ৬-৪ তৃতীয় রাউন্ডে হারিয়ে পরের ম্যাচে আরও নামী ফরাসি সঙ্গার মুখোমুখি হলেও সেন্টার কোর্টের ঘাসে পা হড়কে খুব বিচ্ছিরি ভাবে বাঁ কাঁধের উপর পুরো শরীরের ভার দিয়ে সজোরে আছাড় খেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৪ ০৩:৪৫
Share:

উইম্বলডনের রাজা রজারের দুই আসল শত্রু বিপদে! শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ কোর্টে। সদ্য নবম বার ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল কোর্টের বাইরে।

Advertisement

জকোভিচ এ দিন ফ্রান্সের গিলেস সিমনকে ৬-৪, ৬-২, ৬-৪ তৃতীয় রাউন্ডে হারিয়ে পরের ম্যাচে আরও নামী ফরাসি সঙ্গার মুখোমুখি হলেও সেন্টার কোর্টের ঘাসে পা হড়কে খুব বিচ্ছিরি ভাবে বাঁ কাঁধের উপর পুরো শরীরের ভার দিয়ে সজোরে আছাড় খেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে ট্রেনার ছুটে আসেন। মেডিক্যাল টাইম আউট নেন জোকার। স্ট্রেট সেটে জিতে ওঠার পরেও জকোভিচের গলায় তাই আশঙ্কা, “পতনটা বেশ গড়বড়ে ধরনের ছিল। সে জন্য আশা করেছিলাম, কোনও জয়েন্টে যেন চোটটোট না লেগে থাকে। এবং ভাগ্যক্রমে লাগেনি। শুধু পেশিতে একটু ব্যথা পেয়েছি। এখন দু’দিন আমার ম্যাচ নেই। আশা করি এর মধ্যে বিশ্রাম নিয়ে সঙ্গার জন্য তৈরি হয়ে উঠতে পারব।”

নাদাল আবার কোর্টের বাইরে রজার ফেডেরারের কথায় ধাক্কা খেয়েছেন। এমনিতেই এ দিন প্র্যাকটিসে ফেডেরারের জ্যাকেট নিয়ে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, নীল ট্যাঙ্ক টপ পরে এসেছেন। কেউ বলছেন, ওটা সোয়েটার ভেস্ট। আবার কেউ বলেছেন, নীল ট্র্যাকশুটের টপ পরেছেন। যার হাত দুটো সাদা। তেমনই আচমকা রাফাকে রজারের একহাত নেওয়া নিয়েও টেনিসমহল ধন্দে! ক্লে কোর্ট সম্রাট সম্পর্কে ঘাসের কোর্টের রাজার অভিযোগ, “নাদাল দু’টো পয়েন্টের মাঝে বড্ড বেশি সময় নিচ্ছে। এটা কি দ্রুত গতির ঘাসের কোর্টে ওর দম ধরে রাখার কৌশল? কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কাম্য নয়।” এমনিতেও উইম্বলডনে নাদালের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

যে প্রশ্ন তেত্রিশ বছরে পৌঁছেও নেই লেটন হিউইট সম্পর্কে। এখনও বিশ্বের প্রথম পঞ্চাশের মধ্যে (৪৮) থাকা অস্ট্রেলীয় মন্দ আলোয় গতকালের অসমাপ্ত ম্যাচে গতবারের সেমিফাইনালিস্ট জার্জি জানোউইচকে ম্যারাথন পাঁচ সেটে টেনে নিয়ে গিয়ে তবেই বশ্যতা মানলেন। ‘ফাইভ সেটার স্পেশ্যালিস্ট’ হিউইটের এটা ৫৩তম পাঁচ সেটের ম্যাচ। এ দিন হারলেও কেরিয়ারে জয়ের হিসাবে তিনি এগিয়ে। ৩১-২২।

ঘরের চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারের আবার তৃতীয় রাউন্ড প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মানসিক ভাবে তাঁরই সমগোত্রীয়। স্পেনের রবার্তো বাতিস্তা অগট ঠিক মারের মতোই টেনিসকে পেশা করে নেওয়ার আগে পর্যন্ত চুটিয়ে ফুটবল খেলতেন। মারে যদি একদা স্কটিশ লিগ দল রেঞ্জার্সের জুনিয়র দলে ভর্তি ছিলেন, তা হলে অগটের বাল্যকাল কেটেছে লা লিগার দল ভিয়ারিয়ালের জুনিয়র ক্যাম্পে। মজা করে ম্যাচের আগে বলেছেন, “টেনিসকে বেছে নেওয়ার জন্য আমার কোনও আক্ষেপ নেই। তবে আজ লড়াইটা ফুটবলে হলে অ্যান্ডিকে হারানোর সুযোগ আমার অনেক বেশি থাকত। কারণ টেনিসটা না হলেও ফুটবলটা আমি ওর চেয়ে ভাল খেলতাম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement