কাপ উঁকিঝুঁকি

অস্ট্রেলিয়া বোর্ড কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। চোট কাটিয়ে দলে আসা অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে শনিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রাখা হয়নি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাতে ক্লার্ক নামতে পারেন সেই জন্যই অস্ট্রেলীয় বোর্ডের এই সতর্কতা। তবে শেন ওয়ার্ন কিন্তু মনে করেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শনিবার ক্লার্ককে নামানো উচিত ছিল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪২
Share:

প্র্যাকটিসের ফাঁকে মোয়ারে বসেই আড্ডা স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস ট্রেডওয়েলদের।

ওয়ার্নের পরামর্শ

Advertisement

অস্ট্রেলিয়া বোর্ড কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। চোট কাটিয়ে দলে আসা অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে শনিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রাখা হয়নি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাতে ক্লার্ক নামতে পারেন সেই জন্যই অস্ট্রেলীয় বোর্ডের এই সতর্কতা। তবে শেন ওয়ার্ন কিন্তু মনে করেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শনিবার ক্লার্ককে নামানো উচিত ছিল। কিংবদন্তি অস্ট্রেলীয় স্পিনার বলেছেন, “আমার মনে হয় ক্লার্ক এখনই মাঠে নামতে তৈরি। অবশ্যই ফিজিও আর বাকিরা মাইকেলের জন্য একটা পরিকল্পনা ছকে রেখেছে। আট সপ্তাহে তোমাকে এই করতে হবে, ওই করতে হবে। এ সবই হয়তো।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “গত পাঁচ বছরে ওকে এখন সবচেয়ে ফিট মনে হচ্ছে। নিজেকে ফিট করতে ও সব কিছুই করেছে। ও এ বার মাঠে নামতে তৈরি। সাফল্যের জন্য দারুণ খিদেটাও রয়েছে।”

Advertisement

পাকিস্তানের পাল্টা

ভারত-পাকিস্তানের রবিবারের বাইশ গজের মহাযুদ্ধ নিয়ে এমনিতেই গনগনে আবহাওয়া দু’দেশের ক্রিকেট মহলে। এর মধ্যে আবার একটি স্পোর্টস চ্যানেলে ম্যাচটির বিজ্ঞাপন দেখানো নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট পাক সমর্থকেরা। বিজ্ঞাপনে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পাঁচ বার হারার ব্যাপারটাকে তুলে ধরা নিয়ে যত ক্ষোভ। এমনিতেই ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধে পাকিস্তানের টানা হারের রেকর্ড, তার উপর এই নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ তো আছেই। তিতিবিরক্ত হয়ে পাক একটি চ্যানেল বিশ্বকাপ নিয়ে পাল্টা একটি বিজ্ঞাপনই তৈরি করে ফেলেছে। যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৮৬ অস্ট্রেলেশিয়া কাপ ফাইনালে চেতন শর্মাকে মারা জাভেদ মিয়াঁদাদের ছক্কা, ১৯৯১ শারজার ফাইনালে আকিব জাভেদের হ্যাটট্রিক, সইদ আনওয়ারের চেন্নাইয়ে করা ১৯৪, গত বছর এশিয়া কাপে আফ্রিদির ছক্কায় আসা জয়ও, যেখানে ভারত-পাকিস্তান ওয়ান ডে-তে শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল।

অসময়ে ম্যাচ

চব্বিশটা ম্যাচের মধ্যে তোরোটা ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটে থেকে শুরু। বাকি ম্যাচের কোনওটা ভোর সাড়ে ছ’টায় বা সকাল ৯টা থেকে। বিশ্বকাপের এ হেন সূচিতে বিপদে রাজধানী সহ বিভিন্ন মেট্রো শহরের রেস্তোরাঁ, পানশালা। এমন অসময়ে ম্যাচ হলে কী ভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করা যায়? ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য তাই নানারকম ককটেল, মকটেল আর সুখাদ্যের আয়োজনই এখন ভরসা। সঙ্গে ম্যাচ দেখার জন্য প্রোজেকশন স্ক্রিন, এলইডি ওয়াল, ক্রিকেটের সরঞ্জাম দিয়ে পরিবেশকে আরও উপভোগ্য করার প্রচেষ্টাও রয়েছে। ককটেলের নামেও অভিনবত্ব। কোনওটার নাম ‘ধোনি’জ স্ল্যামার’ তো কোনওটার ‘মালিঙ্গা’জ ইয়র্কার’। ভারতীয় সমর্থকদের জন্য অবশ্য কিছুটা স্বস্তির বিশ্বকাপের দুটো ম্যাচ (২৮ ফেব্রুয়ারি আমিরশাহি ও ৬ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ) দুপুর বারোটা থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement