হেলস: ৬৪ বলে ১১৬ ন.আ.।
নেদারল্যান্ডস মানেই কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাটক? পাঁচ বছর আগে লর্ডসে উদ্বোধনী ম্যাচে উদ্যোক্তা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে অবাক করে দিয়েছিল ডাচরা। তারাই তিন দিন আগে বাংলাদেশের মাঠেই কুড়ি ওভারের ফর্ম্যাটে সর্বকালের সর্বনিম্ন রানে অল আউট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আবার এ দিন চট্টগ্রামে স্টেইন-মর্কেল-সতসবের গোলাগুলি সামলে নেদারল্যান্ডস প্রায় জিতেই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত লেগস্পিনার ইমরান তাহিরের (৪-২১) কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ছ’রানে জেতে। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ড আবার ওভার পিছু সাড়ে ন’রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কাকে ছ’উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ ভাবে লড়াইয়ে ফিরে এল। সাড়ে ছ’ফুটের ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের বিধ্বংসী অপরাজিত সেঞ্চুরির (৬৪ বলে ১১৬ নটআউট)। নটিংহ্যামশায়ারের পঁচিশ বছর বয়সী মারকুটে ব্যাটসম্যান একটা সময় টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে আইসিসি-র বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ছিলেন। এ দিন মালিঙ্গা-মেন্ডিসের পেস-স্পিন যাবতীয় পিটিয়ে ১১ বাউন্ডারি, হাফডজন ছক্কা-সহ ১৮০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে হেলসের বিস্ফোরক ইনিংস বিপক্ষের জয়বর্ধনের ৫১ বলে ৮৯ কিংবা দিলশানের ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরির (৫৫) সপাট জবাব। হেলসকে যোগ্য সঙ্গ দেন মর্গ্যান (৩৮ বলে ৫৭)। শ্রীলঙ্কার ১৮৯-৪ ইংল্যান্ড চার বল বাকি থাকতে টপকে যায়। ১৯০-৪। কুলশেখরার ভাল বোলিং (৪-৩২) কোনও কাজে আসেনি। প্রথম ম্যাচে ডে’ভিলিয়ার্স-দুমিনিদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৫ রানে (সর্বোচ্চ রান ওপেনার হাসিম আমলার ৪৩) আটকে রাখার পর ১৪৬ রানের টার্গেট তাড়া করে শেষ ১২ বলে ৯ রান দরকার ছিল ডাচদের। হাতে যদিও এক উইকেট ছিল। কিন্তু তাড়াহুড়ো না করেও রানটা তোলা অসম্ভব ছিল না। তার উপর সেই সময় এগারো নম্বর ফান ডার গটেনকে মিডউইকেটে ফস্কে ডেল স্টেইন আরও বিপদ ডেকে এনেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষমেশ ১৯তম ওভারে হেনড্রিকস ডাচদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে দু’প্লেসির দলের মুখে স্বস্তির হাসি ফোটান। নেদারল্যান্ডস ১৮.৪ ওভারে অল আউট হয় ১৩৯ রানে। তিন ম্যাচে দুই জয়ের সুবাদে চার পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকল। তা সত্ত্বেও ডাচ পেসার আহসান মালিকের এ দিনের বোলিং (৪ ওভারে ৫-১৯) ভোলার নয়। স্টেইনের দলের বিরুদ্ধে স্টেইনগান সুলভই পেস বোলিং স্পেল!