নিজস্বী: বুধবার শিলিগুড়ি বইমেলায় ঋদ্ধিমান সাহা। নিজস্ব চিত্র
উইকেটের পিছনে কোনও বল যেন তাঁর হাত ফস্কে বেরিয়ে না যায়। তা নাগালের বাইরে থাকলেও ধরা চাই— ইডেনে গোলাপি বলে প্রথম টেস্টে ‘কামব্যাক’ খেলার সময় সে কথাই মাথায় রেখেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা।
বুধবার সপরিবার শিলিগুড়ি বইমেলায় ঘোরার ফাঁকে ওই খেলা নিয়ে এমনই জানালেন ঋদ্ধি। বাংলাদেশের সঙ্গে যে টেস্ট ম্যাচের পরে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন থেকে কোচ, সকলেই। ভারতীয় অধিনায়ক তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপারের তকমা দিয়েছেন। তবে এই মূহূর্তে অনামিকা আঙুলে চোটের জেরে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।
ঋদ্ধি জানান, নিজেকে বাঁচিয়ে খেলার ব্যাপার নেই। কখনও সেটা করেন না। তাই চোট নিয়েও চিন্তিত নন ভারতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার।
এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আঠারো মাস পরে খেলতে নেমেছিলাম। মাথায় অন্য কিছু ছিল না। ঋষভ পন্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও খেলেছে।’’ ঋদ্ধি আরও বলেন, ‘‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলিনি। এখন সুযোগ পেলাম। যেটা শিখেছি সবই উজার করে দেওয়ার ছিল। কোনও ভাবেই বল হাতের বাইরে যাবে না, এমন সংকল্প করেছিলাম।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘ক্যাপ্টেন থেকে কোচ, দলের সতীর্থরা প্রশংসা করেছে। ভাল লাগছে। তবে সে দিকে নজর না দিয়ে পরের খেলার দিকে মন দেব।’’ নিউজিল্যান্ড সফরের আগে রঞ্জি ট্রফি খেলবেন বলেও জানান ঋদ্ধি।
আঙুলের চোট নিয়ে জানান, এখন ভাল রয়েছেন। তাই ঘোরাফেরা করতে পারছেন। তবে আঙুল সারতে এক মাসের মতো সময় লাগবে। কয়েক দিনের মধ্যে এক বার চেকআপে যেতে হবে। তার পরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবিলিটেশন।
বারবার চোট পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি যে চেষ্টা করবে, তারই হয়তো এটা হতে পারে। অনেকে রয়েছে যারা নিজেকে বাঁচিয়ে খেলতে পারে। অনেকে খেলেও হয়তো। কিন্তু তারা হয়তো বলে বলে ক্যাচ ধরতে পারে না। আমি চেষ্টা করি। তাতে হয়তো চোট লাগে। কিন্তু আখেরে দলের কাজে লাগে।’’
বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হওয়ায় বাংলার ক্রিকেটে কতটা সুবিধা হবে? ঋদ্ধির জবাব, ‘‘যখন কিছু হবে তখনই বলতে পারব। বাংলা থেকে বা ইস্ট জোন থেকে যদি কোনও নতুন ক্রিকেটার সুযোগ পায় তবে নিশ্চয়ই ভাল। তবে সবার আগে পারফরম্যান্স করতে হবে। যা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সাহায্য করবে।’’
এ দিন স্ত্রী রমি, বাবা-মা এবং কাকাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাফারি পার্কেও ঘুরতে যান ঋদ্ধিমান। সেখান থেকে বইমেলায় আসেন সকলে। মেলায় তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে যায়। অনেকে অটোগ্রাফ নিতেও ভিড় করেন।
ঋদ্ধি বলেন, ‘‘ছোটবেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় আসতাম। বহু দিন পরে ফের আসতে পারলাম।’’