ছবি সংগৃহীত
সময় মতো সব কিছু চললে এত দিনে এ বছরের চ্যাম্পিয়ন দলকে পেয়ে যেত আইপিএল। কিন্তু এক মারণ ভাইরাস সব অঙ্কই পাল্টে দিল। আইপিএল কবে হবে, হলেও এ দেশে হবে কি না, বিদেশি ক্রিকেটারদের দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সিইও বেঙ্কি মাইসোর জানিয়ে দিলেন, কেকেআরের মতো অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিও চায়, বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে পুরোদমে হোক আইপিএল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলি বৈঠকে এ বিষয়ে কথা বলেন বেঙ্কি ও অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। একই দিনে রাজ্যে আমপানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কাছে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল কেকেআর। বৃহস্পতিবার থেকেই রওনা দিল নাইটদের ‘সহায়তা বাহন’। এই গাড়ি করেই বিভিন্ন জেলায় সঙ্কটে থাকা মানুষদের কাছে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। নাইটদের পতাকা উন্মোচন করে ‘সহায়তা বাহন’-এর যাত্রা শুরু করেন তিনি এ দিন। অন্যতম নাইট কর্ণধার জুহি চাওলার উদ্যোগে বাংলায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানোর প্রয়াসও শুরু হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে। নাইট তারকাদের নিয়ে একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করা হয়, যেখানে আমপানে বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন অইন মর্গ্যান, প্যাট কামিন্সরা।
তারই সাংবাদিক বৈঠকে বেঙ্কিকে প্রশ্ন করা হয়, বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়া আইপিএল হওয়ায় আপনার সায় কতটা? নাইট সিইও-র উত্তর, ‘‘আইপিএল জনপ্রিয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এত দিন যে ভাবে ভারতীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা হয়েছে, সে রকমই চলুক।’’ প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বড় অর্থ ব্যয় করেছে বিদেশি ক্রিকেটারদের কেনার জন্য। তা ছাড়া আন্দ্রে রাসেল, এবি ডিভিলিয়ার্স, লাসিথ মালিঙ্গাদের ছাড়া আইপিএল কেউ ভাবতেই পারেন না।
শোনা যাচ্ছে, অক্টোবর ও নভেম্বরে আইপিএল আয়োজন করার সম্ভাবনা বাড়ছে। নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বছরের যে কোনও সময়েই আইপিএল খেলতে প্রস্তুত। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন হতে চলেছে। তার অন্যতম, অবশ্যই বলে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। বোলারদের কতটা সমস্যা হতে পারে? নাইট অধিনায়কের উত্তর, ‘‘থুতু দিয়ে বল পালিশ করতে না পারলে টেস্টে অবশ্যই সমস্যা হবে। সীমিত ওভারে পার্থক্য বোঝা যাবে না।’’
কার্তিক এখনও হতাশ আমপানে ক্ষতিগ্রস্থ কলকাতার জন্য। ইডেনে ৬৫ হাজার দর্শকাসন কখনও হতাশ করেনি। তাই এ বারের আইপিএল জিতে বাংলার মানুষদের মুখে হাসি ফেরাতে চান তিনি। কার্তিক বলে গেলেন, ‘‘আমপানে বিধ্বস্ত মানুষদের জন্য এইটুকুই করার ক্ষমতা আছে আমার। যদি এ বার জিততে পারি, অবশ্যই উৎসর্গ করব বাংলার মানুষদের।’’