প্রস্তুতি: চনমনে সনি, সতীর্থদের চাঙ্গা করতে চান সুনীল। —ফাইল চিত্র।
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে তিনিই হতে পারতেন বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রধান অস্ত্র। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট তাঁকে চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে দিয়েছে মাঠের বাইরে। তিনি— সুনীল ছেত্রী।
মাঠে নেমে খেলতে না পারলেও ফাইনালে সুনীলই ভরসা বেঙ্গালুরু শিবিরে! কারণ, সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে রবিবার সকালেই কটক পৌঁছে যাচ্ছেন সুনীল। ম্যাচ চলাকালীন কোচ আলবের্তো রোকা-র সঙ্গে তিনিও থাকবেন রিজার্ভ বেঞ্চে। শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে সুনীল বললেন, ‘‘ভীষণ ভাবেই এই ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমন একটা সময় চোটটা পেলাম যে, সেরে ওঠার সুযোগটা কম। তবে আমি কটক যাচ্ছি সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে।’’
কিন্তু চোট নিয়ে ফের বেঙ্গালুরু থেকে কটকে আসাটা কি ঝুঁকির নয়? সুনীল বললেন, ‘‘দল ফাইনাল খেলছে অথচ আমি মাঠে থাকব না? এটা হতেই পারে না। তা ছাড়া আমি তো আর খেলব না। তা-ই কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’’
অধিনায়কের আসার খবর শুনেই চনমনে ইউজেনসন লিংধো, উদান্ত সিংহ-রা। বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা বলছেন, ‘‘শুধু মাঠে নয়। মাঠের বাইরেও আমাদের নেতা সুনীল। ও দুর্দান্ত ভাবে সকলকে উজ্জীবিত করে। ওর জন্যই ফেডারেশন কাপ যে কোনও মূল্যে জিততে চাই’’
শুধু ফুটবলাররা নন, ফেডারেশন কাপ জিততে বেঙ্গালুরু কোচ এতটাই মরিয়া যে, প্রথম দলের কাউকেই এএফসি কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলাননি। শুধু তা-ই নয়। জন জনসন, কর্নেল গ্লেন, হরমনজ্যোৎ সিংহ খাবরা-দের কাউকেই কলকাতায় নিয়ে যাননি তিনি। কটকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন গ্লেন-রা। আর কলকাতা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কটকে ফিরেই পুরো দল নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন বার্সেলোনায় ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের প্রাক্তন সহকারী রোকা।
আই লিগ জিততে পারেনি বেঙ্গালুরু এফসি। আগামী মরসুমে তাদের এএফসি কাপে খেলা পুরোটাই নির্ভর করছে রবিবারের ম্যাচের উপর। ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেই বেঙ্গালুরু সুযোগ পাবে এএফসি কাপে খেলার।
মোহনবাগান ভুবনেশ্বর পৌঁছল শুক্রবার দুপুরে। এ দিন আর বল নিয়ে প্র্যাকটিস করেননি সনি নর্দে-রা। বিকেলে শুধু সাঁতার কাটলেন টিম হোটেলের সুইমিং পুলে। বেঙ্গালুরুকে আগের ম্যাচে ৩-১ গোলে উড়িয়ে ফুটবলাররা সকলে ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও কোচ সঞ্জয় সেন সতর্ক। তিনি বলেছেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সেরা দল। যদিও এ বছর ওরা কোনও ট্রফি পায়নি। আমরাও গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরাও আই লিগ হাতছাড়া করেছি মাত্র এক পয়েন্টর জন্য। ফেডারেশন কাপ জিতে এ বার সেই দুঃখটা ভুলতে চাই।’’