এক ফ্রেমে স্টিভ-ওয়ার্ন। যখন সতীর্থ ।
স্টিভ ওয়-র মতো স্বার্থপর ক্রিকেটার নাকি আর কেউ নেই!
শেন ওয়ার্ন অন্তত সে রকমই মনে করেন।
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের স্বর্ণযুগে এই দুই মহাতারকার সম্পর্ক নিয়ে কম চর্চা হয়নি। দু’জনের সম্পর্ক যে বেশ অম্লমধুর ছিল, তা অনেকেরই জানা। কিন্তু ওয়ার্ন এক টিভি শোয়ে যে রকম চাঁচাছোলা ভাষায় স্টিভের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, তাতে পরিষ্কার হয়ে গেল দুই সতীর্থের সম্পর্কটা ঠিক কী জায়গায় ছিল।
কী বলেছেন ওয়ার্ন?
তাঁর বক্তব্য, ‘‘অনেক কারণে আমি স্টিভকে পছন্দ করি না। তার একটা হল, আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি, তাদের মধ্যে সবচেয়ে স্বার্থপর ক্রিকেটার ও।’’ ১৯৯৯-এর একটি টেস্টে নিজের বাদ পড়ার ঘটনা শুনিয়ে ওয়ার্ন বলেন, ‘‘সে বার ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ টেস্টে আমাদের জিততেই হত। তখন ক্যাপ্টেন, ভাইস ক্যাপ্টেন ও কোচই টিম বাছত। আমি তখন তেমন ফর্মে ছিলাম না, লারা অভাবনীয় ব্যাটিং করছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে।’’
এক অস্ট্রেলীয় টিভি চ্যানেলের রিয়েলিটি শোয়ে ওয়ার্ন এই কথা শুনিয়ে বলেন, ‘‘বৈঠকে ঢুকে যখন সবার বক্তব্য শুনতে চাওয়া হল, তখন স্টিভ বলল, ‘তুমি এই টেস্টে খেলছ না’। আমি বললাম, ‘মানে? দাঁড়াও দাঁড়াও। তা হলে টিমটা কী হওয়া উচিত?’ উত্তরে স্টিভ বলে উঠল, ‘না, না। আমি ক্যাপ্টেন, আমি বলছি, তুমি খেলছ না।’ এত বছর পর আজও মনে আছে সেই ঘটনা।’’ স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে ওয়ার্ন বলেন, ‘‘আমি জানতাম টেস্টটা জিততেই হবে। তাই নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতাম সেই টেস্টে।’’ অ্যান্টিগার সেই টেস্টে স্টিভের অস্ট্রেলিয়া জিতে সিরিজ ২-২ করেছিল।
নিজের বই ‘দ্য মিনিং অফ লাক’-এ এই ঘটনা নিয়ে ওয় লিখেছিলেন, ‘‘সে দিন এক বন্ধুকে হারিয়ে শিক্ষা পেয়েছিলাম যে, কোনটা ঠিক, তা জানা আর করে দেখানোর মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। আশা করি আমি যে সে দিন ওর দক্ষতার উপর আস্থা হারাইনি, তা একদিন ঠিকই বুঝতে পারবে শেন।’’
ওয়ার্নের টিভি শো দেখার পর কি আর সেই আশায় থাকবেন স্টিভ? বোধহয় না।