গোলাপি বলে প্রস্তুতি ম্যাচে আক্রমণাত্মক মেজাজে ঋষভ পন্থ। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
সিডনিতে গোলাপি বলের প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া সেঞ্চুরি টেস্ট সিরিজের আগে মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন ঋষভ পন্থ।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হওয়া আইপিএলে ছন্দে ছিলেন না তিনি। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন না। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এর ফলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টে উইকেটকিপার হিসেবে ঋদ্ধিমান সাহা ও তাঁর মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে টিম ম্যানেজমেন্ট। ঋদ্ধি প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলে, তাঁর দাবিও রীতিমতো জোরাল। আর শতরানের ইনিংসের পর ঋষভকেও উপেক্ষা করা সহজ নয়।
এদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ওয়েবসাইটে বাঁ-হাতি কিপার-ব্যাটসম্যান বলেছেন, “যখন ব্যাট করতে গিয়েছিলাম তখন অনেক ওভার বাকি ছিল। হনুমা বিহারি আর আমি লম্বা জুটি গড়তে চেয়েছিলাম। যতক্ষণ সম্ভব ব্যাট করে যেতে চেয়েছিলাম। নিজেকে যতটা সম্ভব সময় দেওয়া লক্ষ্য ছিল আমার। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়তে লেগেছিল। এই সেঞ্চুরি আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছে। এক মাসেরও বেশি হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি। কিন্তু ঘাড়ে সমস্যার জন্য প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পাইনি। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত ভুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্রিজে থাকতে চেয়েছিলাম। তার ফলে একটা ভাল ইনিংস পেয়েছি।”
আরও পড়ুন: শুভমনের পাল্টা চ্যালেঞ্জ অস্ট্রেলিয়াকে, স্লেজিং করে ভয় দেখানো যাবে না
আরও পড়ুন: পিছনে ফেলেছেন কোহালিকে, আইপিএল থেকে রোহিতের উপার্জন ১৩১ কোটি টাকা
গোলাপি বলে হওয়া গা-ঘামানো ম্যাচে ভারতীয় শিবিরের ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশ্য ছিল বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা। ঋষভের কথায়, “প্রথম ইনিংসে আমরা তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গিয়েছিলাম। একটু আর্দ্রতাও ছিল উইকেটে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের একটা ধারণা হয়ে গিয়েছিল উইকেট সম্পর্কে। তাই সবাই নিজেদের প্রয়োগ করতে পেরেছিল। ব্যাটসম্যানরা সবাই বেশি সময় উইকেটে থাকতে মরিয়া ছিল। বোলাররাও ভাল বল করেছে। ফলে আমার মনে হয় প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। কারণ, নৈশালোকে খেলা একটু মুশকিলই।”