বিপর্যয়ের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পন্টিং থেকে ম্যাকগ্রা

শেন ওয়ার্ন রাগে প্রায় ফেটে পড়ছেন। তীব্র বিষোদগার করতে করতে স্কাই স্পোর্টস কমেন্ট্রিতে বলে দিচ্ছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটটা টেকনিকের খেলা। আর ব্রড দেখিয়ে গেল, এদের অনেকেরই টেকনিক বলে কিছু নেই! এত গাদা-গাদা সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললে এমনই হবে!’’ গ্লেন ম্যাকগ্রা গোটা ইহজীবনে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ের এর চেয়ে জঘন্য বিজ্ঞাপন দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। ব্রড-বিস্ফোরণে ক্লার্কদের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে টুইট করে ফেলেছেন, ‘‘আমার দেখা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ দিন।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৫ ০৪:০৬
Share:

শেন ওয়ার্ন রাগে প্রায় ফেটে পড়ছেন। তীব্র বিষোদগার করতে করতে স্কাই স্পোর্টস কমেন্ট্রিতে বলে দিচ্ছেন, ‘‘টেস্ট ক্রিকেটটা টেকনিকের খেলা। আর ব্রড দেখিয়ে গেল, এদের অনেকেরই টেকনিক বলে কিছু নেই! এত গাদা-গাদা সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললে এমনই হবে!’’ গ্লেন ম্যাকগ্রা গোটা ইহজীবনে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিংয়ের এর চেয়ে জঘন্য বিজ্ঞাপন দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। ব্রড-বিস্ফোরণে ক্লার্কদের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে টুইট করে ফেলেছেন, ‘‘আমার দেখা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ দিন।’’

Advertisement

রিকি পন্টিংয়ের মনে হচ্ছে, ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার কোনও প্ল্যানিংই ছিল না। তাঁর মেজাজ খারাপ হচ্ছে সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলীয়দের তড়পানি দেখে। ‘‘কতটা পজিটিভ থাকবে, তা নিয়ে অত তড়পানির কী ছিল? দেখাই তো গেল কোনও প্ল্যানিং নেই। শেষ টেস্ট থেকে কিছু শেখা উচিত ছিল। কিন্তু এরা কিছুই শেখেনি!’’

টিম ৬০ অলআউট— এমন স্কোরবোর্ড দেখলে আন্দাজ করা শক্ত নয় পৃথিবীর দুঃখীতম মানুষ আজ কে? কিন্তু ট্রেন্টব্রিজ-বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে মাইকেল ক্লার্কের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ওয়ার্ন-পন্টিংয়ের মতো প্রাক্তনরা নেমে পড়েছেন তুলোধোনা করতে। অস্ট্রেলীয় মিডিয়া যথাযথ ‘ধোলাইয়ে’র ব্যবস্থা করে ফেলেছে। টুইটার, ফেসবুকের বিশ্ব—সেখানেও শুধু বিদ্রূপ আর কটুক্তি।

Advertisement

ট্রেন্টব্রিজে

• টেস্ট ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম প্রথম ইনিংস। ১১১ বলে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়া।

•অ্যাসেজের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন স্কোর। ১৮৯৬-এ লর্ডসে অস্ট্রেলিয়া ৬০ রানেই অল আউট হয়।
সেই টেস্ট অস্ট্রেলিয়াই জিতেছিল ৬১ রানে।

• টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চের আগে সেরা বোলিং ব্রডের ৮-১৫। আগের সেরা গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জির।
১৯৬৭, এমসিজি-তে ভারতের বিরুদ্ধে ৬-৩৪।

‘‘সকালের পরিবেশ সামলানো সবচেয়ে কঠিন ছিল। তবে মনে করি না যে, অতি আগ্রাসনে আমাদের এমন হল। কাল টেস্টের কন্ট্রোল নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে,’’ এ দিন খেলা শেষে বলে দিয়েছেন ক্লার্ক। আর কন্ট্রোল! ইংল্যান্ডের লিড ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়েছে ২১৪ রানের। জো রুটের (১২৪ ন.আ.) সৌজন্যে প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ড ২৭৪-৪। বরং আলোচ্য ব্যাপার হল, অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ফ্রেডি ট্রুম্যানের উইকেটসংখ্যাকে ব্রড টপকে যেতে পারবেন কি না। ব্রড আর ট্রুম্যানের টেস্ট উইকেটসংখ্যা এখন এক। ৩০৭। এবং সেই সম্ভাব্য রেকর্ডকে ছাপিয়ে কোনও অলৌকিকের সম্ভাবনা অস্ট্রেলীয় মিডিয়া দেখছে না। বরং নানাবিধ অপমনাজনক শিরোনামে ভূষিত করছে ক্লার্কদের ট্রেন্টব্রিজ বিপর্যয়কে।

ইটস পমিসাইড! ডিসাস্টার। শকার। বাদ নেই কিছু। তবু বোধহয় এগুলো নয়। ক্লার্কদের বিপর্যয়ের প্রতি সেরা বক্রোক্তিটা এল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। যেখানে ক্লার্ক ও কুকের একটা কল্পিত কথাবার্তা তুলে দেওয়া হল। যেখানে ক্লার্ক বলছেন, ভাবছি প্রথম দিন কী করব। ব্যাট না বল? এবং শুনে হাসতে হাসতে কুকের উত্তর, কেন দু’টোই করো না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement