আন্তর্জাতিক স্কুল চেস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতার পরে অর্ষিয়া। ছবি: অর্ষিয়ার পরিবারের সৌজন্যে
এশিয়ান স্কুল চেস চ্যাম্পিয়ন হল আগরতলার অর্ষিয়া দাস। ৯ বছরের অর্ষিয়া গত বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার ব্লিটজ ইভেন্টের অনূর্ধ্ব ৯ বিভাগে সোনা জেতে। সাত রাউন্ডের শেষে অর্ষিয়ার সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। ক্ল্যাসিকাল বিভাগেও পদক জেতে সে। ক্ল্যাসিকাল বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতে এই মুহূর্তে ভারতের এক নম্বর অর্ষিয়া। এই মুহূর্তে অর্ষিয়ার এলো র্যাঙ্কিং ১৩৪০।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে আগরতলার এক শপিং মলে দাবার বোর্ড দেখে বায়না করে অর্ষিয়া। ইঞ্জিনিয়ার বাবা পূর্ণেন্দু দাস সেদিন মেয়ের সেই বায়না না মানলে আজ হয়তো চ্যাম্পিয়ন হওয়াই হত না ক্লাস থ্রি-র অর্ষিয়ার। বাড়িতে কেউ দাবা না খেললেও অর্ষিয়ার দিদিমা ছিলেন সাঁতারু। শনিবার উজবেকিস্তান থেকে দিল্লি ফিরেই অর্ষিয়া পেয়ে গিয়েছে তাঁর প্রিয় দিদিমার হাতের চিকেন কারি।
আগরতলায় বীরেন্দ্র ক্লাবে প্রথম প্রথাগত দাবা খেলার শিক্ষা পায় অর্ষিয়া। ২০১৬ থেকে বিভিন্ন জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করে সে। এই মুহূর্তে ফিডে মাস্টার প্রসেনজিৎ দত্তের তত্ত্বাবধানে খেলছে অর্ষিয়া। গত বছর নভেম্বরে স্পেনে আন্তর্জাতিক দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব ৮ ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে সে। ১০০ জনের মধ্যে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়। ২০১৭ ও ২০১৮-র কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নেয় অর্ষিয়া। দু’ বারেই নবম হয় সে। ২০১৯ সালের জাতীয় স্কুল চেস চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় রায়পুরে। সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হয় অর্ষিয়া। এর ফলে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান স্কুল চেস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় অর্ষিয়া। সেখানেও সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে সে।
এই মুহূর্তে দিল্লিতে অর্ষিয়ার পুরো পরিবার। ১ জুলাই থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে কমনওয়েলথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় অর্ষিয়া অংশ নেবে অনূর্ধ্ব-১০ বিভাগে। অর্ষিয়ার সাফল্যের অপেক্ষায় গোটা দেশ।