কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ। অন্য জায়গায় নিরাপত্তার সমস্যাই কার্যত শাপে বর হতে চলেছে শিলিগুড়ির জন্য। বারাসত স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকায় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকেই লিগের শেষ ম্যাচের জন্য ঘরের মাঠ হিসেবে বেছে নিচ্ছে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ।
মোহনবাগানের মিডিয়া ম্যানেজার ইমরান খান বলেন, ‘‘আমরা বারাসতে ম্যাচ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে।’’ বেঙ্গালুরু এফসি আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বারাসতে চাপ না বাড়িয়ে শিলিগুড়িকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। লিগ জেতার আশা শেষ হলেও এখনও লড়াইয়ের কথা বলছে মোহনবাগান। তিনি বলেন, ‘‘এই ম্যাচে জিততেই হবে। না হলে রানার্স হওয়াও হবে না।’’ দু’দলই শহরে ঢুকছে ২২ এপ্রিল। মোহনবাগান সেবক মোড় লাগোয়া একটি হোটেলে এবং বেঙ্গালুরুর দলটি ভক্তিনগর থানা লাগোয়া একটি হোটেলে থাকবে বলে ঠিক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও স্টেডিয়ামের মাঠ ঠিক নেই এবং গ্যালারিও সম্পূর্ণ তৈরি নয় বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষ। ফলে পুরো গ্যালারি দর্শকদের জন্য খোলা যাবে না বলে জানান তাঁরা। মাঠ প্রস্তুত না থাকলেও মোহনবাগান রাজি থাকায় ম্যাচ আয়োজনে ক্রীড়া পরিষদ আপত্তি করেনি বলে জানা গিয়েছে। নিয়মরক্ষার ম্যাচে টিকিটের চাহিদার ব্যাপারে সন্দিহান ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষ। পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘আপাতত পাঁচ হাজার টিকিট বাজারে ছাড়া হচ্ছে। আরও এক হাজার ভিআইপি ও অন্য অতিথিদের জন্য রাখা হচ্ছে।’’ বৃহস্পতিবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ৪০০, ২০০ এবং ১০০ টাকার টিকিট রয়েছে। আপাতত পাঁচ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছে। আরও দু’হাজার টিকিট তৈরি করা হচ্ছে। চাহিদা তৈরি হলে তা বাজারে ছাড়ার কথা চিন্তা ভাবনা হবে বলে জানান ফুটবল সচিব মানস দে। ম্যাচের পরে মাঠেই ওই দিন বেঙ্গালুরু এফসি’র হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেওয়া হবে। সন্ধে সাতটা থেকে ফ্লাড লাইটে খেলা হবে।
মঙ্গলবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি এডিসি (পূর্ব) মৃণাল মজুমদারের অফিসে ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মোহনবাগান কর্তারা। ২৩ এপ্রিল ম্যাচ করতে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় পুলিশ সব সময় সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে এডিসির তরফে। পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্রীড়া পরিষদ ও পুলিশের যৌথ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, স্টেডিয়ামে ঢোকার মোট চারটি গেট ১, ২, ৬ ও ১২ খোলা থাকবে। গত ডার্বিতে অভিযোগ উঠেছিল মাঠে জলের ব্যবস্থা না থাকার। মোহনবাগান কর্তারা জানিয়েছেন মাঠে জলের পাউচ রাখা হবে। ক্রীড়া পরিষদের আজীবন সদস্যদের জন্য কমপ্লিমেন্টারি টিকিটের ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।