যদিও ম্যাচটা ভারত-পাকিস্তানের, কিন্তু সেই ম্যাচ ঘিরে আপাতত উত্তেজনায় ফুটছে গোটা বাংলাদেশ।
সরকারি নিয়মের গেড়োয় এখন টিকিট কাটার বিষয়টা সে দেশে বেশ জটিল। সরাসরি আর মাঠে টিকিট মেলে না। টিকিট কাটতে এখন ব্যাঙ্কের চক্কর কাটতে হয়। সেই জটিল নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ম্যাচের দিন পাঁচেক আগেই যখন সব টিকিট নিঃশেষিত হয়ে যায়, তখন উন্মাদনার মাত্রাটা সহজেই বোঝা যায়। আরও টের পাওয়া যায় সেই টিকিটের কালোবাজারির হিড়িক দেখে।
আগের ম্যাচে ভারতের হয়ে মাঠে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল মেরেকেটে শদু’য়েককে । অনুমান, আজকের ম্যাচে সেই সংখ্যাটা অন্তত ১০ গুণ বেড়ে যাবে। গ্যালারিতে ৭০% ঝুঁকে থাকবে ধোনিদের দিকেই। আসলে রহস্যটা লুকিয়ে আছে সহজ পাটিগণিতে। পরের ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শ্রীলঙ্কাকে আপাতত হিসেবের মধ্যে আনতে নারাজ বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে ফাইনালের আগে বাংলাদেশের দেখা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ফাইনালে ওঠার পথে মোর্তাজাদের পথের প্রধান কাঁটা কিন্তু আফ্রিদিরাই। আজ পাকিস্তান হারলে আসলে কিন্তু অ্যাডভানটেজ বাংলাদেশ। অতএব, দূরদর্শী বঙ্গ জনতা মনেপ্রাণে ভারতের বিজয় প্রার্থনাতেই ব্যস্ত।
আরও পড়ুন- পাশাপাশি মাঠে থেকেও ‘নির্বাক চলচ্চিত্র’