নির্লিপ্ত: অধিনায়কত্বের মোহ কাটছে মনোজের। ফাইল চিত্র
অরুণ লাল মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার লগ্নে মনে করা হচ্ছিল, বাংলার ক্রিকেটে সংকট হয়তো মিটবে। কিন্তু তা আরও বেড়ে যাওয়ার মুখে। অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চলেছেন মনোজ তিওয়ারি।
শনিবারই দেওধর ট্রফির ফাইনাল খেলে রাতের দিকে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মনোজের। অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাই তাঁকে পাওয়া যায়নি মোবাইলে। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে সিএবি প্রশাসকদের ব্যবহারে তিনি চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেছেন। সেই কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন, অধিনায়কত্বের পদে থাকবেন না। আশ্চর্যের হচ্ছে, মরসুমের শুরুতে মনোজ নিজেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তখন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব অভিষেক ডালমিয়া মিলে বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাঁকে রাজি করান নেতৃত্বে থেকে যেতে। তার পরেই গোটা মরসুমের জন্য তাঁকে অধিনায়ক ঘোষণা করে সিএবি। সেই হাওয়া সম্পূর্ণ ভাবে ঘুরে যায় বিজয় হজারেতে বাংলার হারের পরে। সৌরভ এবং অভিষেক দলের ক্রিকেটারদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কোচ সাইরাজ বাহুতুলে এবং অধিনায়ক মনোজের বিরুদ্ধে এই ক্রিকেটারেরা নাকি নানা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কেউ কেউ এই বৈঠকের ধরন দেখে বিস্মিতই হন যে, সিএবি প্রেসিডেন্ট এবং সচিব কোচ এবং অধিনায়কের সামনে এই বৈঠক না করায়। ব্যর্থ ক্রিকেটারদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। বিতর্কের জল যদিও এখানেই থামেনি। এর পর রঞ্জি প্রস্তুতি বা প্রথম ম্যাচে বাংলার রঞ্জি দল নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে অধিনায়ক মনোজকে। কোচ বাহুতুলেকে শিবির শুরু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ডাকা হয়নি। বাচ্চাদের খেলনা উপহার দেওয়ার মতো প্রথম দুই ম্যাচের জন্য বাহুতুলেকে কোচ এবং মনোজকে অধিনায়ক করা হয়েছে।
কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বাহুতুলে এই আয়োজনে রাজি হলেও মনোজ খুবই অপমানিত বোধ করেছেন। বিশেষ করে তাঁর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই বাংলার দল বেছে নেওয়াটা একেবারেই তিনি মেনে নিতে পারেননি বলে খবর। সেই কারণেই ঠিক করে ফেলেছেন, নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে খেলবেন। মরসুমের শুরুতে সৌরভ, অভিষেক বুঝিয়ে রাজি করাতে পারলেও এ বারে বরফ গলার সম্ভাবনা খুবই কম। মনোজের ঘনিষ্ঠমহলের মতে, এ বারে সিদ্ধান্ত আর প্রত্যাহার করবেন না তিনি।