নতুন জলপান নিয়ম ভেবে দেখার আর্জি কোহালির

রাজকোটে টেস্টের তিন দিনই প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম ছিল। যার মধ্যে ছটফট করেছেন দুই দলের ক্রিকেটাররাই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

চর্চা: ব্যাটসম্যান পূজারার পকেটে

তাপমাত্রার পারদ যখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই, তখন মাঠে থাকা ক্রিকেটাররা যদি অনেকক্ষণ জল খেতে না পারেন, তা হলে তাঁদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। অথচ বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-র নতুন নিয়মে ক্রিকেটারদের ঘনঘন জল খাওয়ার অনুমতি নেই। শনিবার রাজকোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জেতার পরে এই নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে সরব হলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। তাঁর দাবি, তীব্র গরমে জলপানের বিরতি আরও বাড়ানো উচিত।

Advertisement

রাজকোটে টেস্টের তিন দিনই প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম ছিল। যার মধ্যে ছটফট করেছেন দুই দলের ক্রিকেটাররাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা বেশি ছটফট করেছেন এই অনভ্যস্ত আবহাওয়ায়। বারবার তাঁরা জলপানের বিরতির জন্য আম্পায়ারের কাছে অনুরোধ করেন। কিন্তু নতুন নিয়মের দোহাই দিয়ে সেই অনুরোধ রাখতে পারেননি আম্পায়াররা।

আইসিসি-র নতুন নিয়মে ১১.৮ ধারায় বলা রয়েছে, আউট হওয়ার পরে অথবা দুই ওভারের মধ্যে যে সময়, সেই সময়ে ক্রিকেটাররা বাইরে থেকে জল আনিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া জলপানের বিরতির জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় রাখা নেই। ওভার রেট ঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নাকি এই নতুন নিয়ম। কিন্তু বিরাট বলেন, ‘‘এই টেস্টে ওভার রেট ঠিক রয়েছে জল খাওয়ার বিরতির নতুন নিয়মের জন্য। এই নিয়মে ক্রিকেটারদের মাঠে বেশি জল খাওয়া চলবে না। কিন্তু এই নিয়মটা পরিবেশ অনুযায়ী বিবেচনা করে দেখা উচিত।’’

Advertisement

বাস্তব সমস্যা হল দুই ওভারের মাঝখানে সময় এতই কম থাকে যে ওই সীমিত সময়ের মধ্যে বাইরে থেকে জল আনিয়ে খাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর বড় পার্টনারশিপ হলে ফিল্ডিং দলের ক্রিকেটারদের পক্ষে বেশি জল খাওয়ারও উপায় নেই। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে টেস্টের প্রথম দিন পকেটে জলের বোতল নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা।

কোহালি সাফ বলে দেন, ‘‘এই নিয়ম বদলের জন্য ছেলেরা খুব কষ্ট পেয়েছে। এই তুমুল গরমে ব্যাটিং বা ফিল্ডিং করার সময় টানা ৪০-৪৫ মিনিট জল না খেয়ে থাকাটা বেশ কষ্টসাপেক্ষ। নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটা ভেবে দেখা হবে।’’

চূড়ান্ত দল বাছাইয়ের সময়ও এই গরম ও নতুন নিয়মের কথা মাথায় রাখা হয়েছিল বলে জানান কোহালি। যার ফলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। এই প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, ‘‘পরিবেশের কথা ভেবেই আমাদের একজন বাড়তি বোলার নিতে হয়েছে। কারণ, এই গরমে চারজন বোলার খেলালে হিমশিম খেত। বোলারদের একটু বেশি বিশ্রাম দেওয়ার জন্য পাঁচ বোলার নেওয়া হয়েছিল দলে।’’ তবে এই টেস্টে ভারতীয় বোলারদের যে দুই ইনিংস মিলিয়ে টানা ৯৮.৫ ওভারের বেশি বল করতে হয়নি, এটা তাঁদের পক্ষে ভাল হয়েছে।

ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন তারকা পৃথ্বী শ-কে নিয়ে এ দিন ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘পরিবেশ যে রকমই হোক, টেস্ট ক্রিকেটে দাপট দেখাতে গেলে নিজের সেরাটা দিতে হয়। আর পৃথ্বী দেখিয়ে দিয়েছে ও একেবারে অন্য রকমের। আর সেই জন্যই ওকে ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সুযোগটা ও দু’হাতে কাজে লাগিয়ে নিয়েছে।’’ মুম্বইয়ের ১৮ বছরের এই প্রতিভার আরও প্রশংসা করে ২৪ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক বলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফি, দলীপ ট্রফির পরে টেস্টেও অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান ও-ই প্রথম। সত্যিই আমি ওর জন্য খুব খুশি। ওর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ক্ষমতা দেখেও খুব ভাল লেগেছে। একজন অধিনায়কের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা সত্যিই খুব ভাল।’’ রবীন্দ্র জাডেজাও এ দিন অধিনায়কের প্রশংসা কুড়োন। কোহালি বলেন, ‘‘ও ব্যাটে বা বলে যে কোনও ম্যাচের ছবি বদলে দিতে পারে। একাই ম্যাচ জেতাতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement