—ফাইল চিত্র।
প্রথমে ব্যাট করে ২০১ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিজেদের মাঠে জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন প্যাট কামিন্সেরা। শেষ বলে রভম্যন পাওয়েলকে আউট করে দলকে জেতালেন ভুবনেশ্বর কুমার। এক রানে রাজস্থানকে হারাল হায়দরাবাদ।
মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তোলে হায়দরাবাদ। ওপেনার ট্রেভিস হেড ৪৪ বলে ৫৮ রান করেন। অন্য ওপেনার অভিষেক শর্মা (১২) বড় রান করতে পারেননি। রান পাননি অনমলপ্রীত সিংহও (৫)। হেডের সঙ্গে জুটি গড়েন নীতীশ কুমার রেড্ডী। তাঁরা একসঙ্গে ৯৬ রান করেন। হেড আউট হওয়ার পর বড় রান তোলার দায়িত্ব নেন হেনরিখ ক্লাসেন। রেড্ডী এবং ক্লাসেন মিলে করেন ৭০ রান। রেড্ডী আটটি ছক্কা হাঁকান। ৪২ বলে ৭৬ রান করেন তিনি। ১৯ বলে ৪২ রান করেন ক্লাসেন।
ভারতীয় দলের চিন্তা বৃদ্ধি করলেন যুজবেন্দ্র চহাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর থেকে এখনও ১৫ জনের দলে থাকা কোনও ক্রিকেটার ভাল খেলতে পারেননি। সেই তালিকায় যোগ হল চহালের নাম। ৪ ওভারে ৬২ রান দিলেন তিনি। কোনও উইকেট নিতে পারেননি।
রাজস্থান রয়্যালস ২০১ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ১০ রান প্রতি ওভার করে তুলছিল। কিন্তু উইকেটও হারাচ্ছিল তারা। জস বাটলার এবং সঞ্জু স্যামসন কোনও রান না করে আউট হয়ে যান। তাঁদের উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। সুইংয়ের দাপটে উইকেট তোলেন তিনি। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে দেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং রিয়ান পরাগ। তাঁরা ১৩৩ রানের জুটি গড়েন।
এক সময় মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচ জিতবে রাজস্থান। কিন্তু টি নটরাজন যশস্বীকে বোল্ড করেন। তাতেই আবার লড়াইয়ে ফিরে আসে হায়দরাবাদ। পরাগকে আউট করেন প্যাট কামিন্স।
ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। রাজস্থানের জয়ের জন্য শেষ বলে দুই রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ভুবনেশ্বরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান পাওয়েল। তাতেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। এক রানে হারতে হয় তাদের।