আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের নতুন জার্সি।
বৃহস্পতিবার মীরপুরে ভারত আরব আমিরশাহিকে অনায়াসে হারালেও তাতে যে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের অনেক লাভ হল, তা কিন্তু বলতে পারছি না। রিজার্ভ বেঞ্চেরও বিশাল কিছু পরীক্ষা হল না। আমিরশাহির মতো একটা দলের বিরুদ্ধে ধোনিদের বেঞ্চ কতটা ভাল পারফরম্যান্স দেখাল সেটা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভুবনেশ্বর কুমার যদি পাকিস্তান বা নিদেনপক্ষে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও আট রানে দুই উইকেট নিয়ে দেখাত, নেগি-হরভজন যদি এ রকমই ভাল বল করত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, তা হলেও বুঝতাম যে, ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চকে পরখ করা গেল। কিন্তু সামনে যেখানে আমিরশাহির মতো অতি দুর্বল একটা দল, সেখানে আর কতটা কী মাপা যাবে?
এই ম্যাচে লাভের লাভ যদি কিছু হয়ে থাকে, তা হল এমন একটা উইকেটে খেলতে নামা, যে রকম উইকেট ভারত হয়তো রবিবার ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাবে। এ রকম উইকেটে ড্রেস রিহার্সাল সারার যে সুফল পাওয়া যায়, সেটাই রবিবার হয়তো পাবে ভারত। এ দিনও ধোনিরা ঘাসের উইকেট পেল। যেখানে ভাল ব্যাট করা, বিশেষ করে উইকেটে টিকে থেকে স্ট্রোক করা মোটেই সহজ নয়। ম্যাচের শেষে রোহিত শর্মাকেও বলতে শুনলাম যে, এ রকম উইকেটে শট বাছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
একেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। যেখানে একটা ডট বল মানেই অনেকটা পিছিয়ে পড়া। তার উপর সঠিক শট বাছাইয়ের চাপ। এই ধরনের উইকেটে তাই টি টোয়েন্টি-র ব্যাটিং যেন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আমিরশাহি যে প্রথমে ব্যাট করে ৮১-৯ স্কোরে পৌঁছল, এটাই তো অনেক। তবে এই উইকেটেও যে রোহিত-যুবরাজরা স্ট্রোক খেলে গেল, সেটা একটা ভাল ব্যাপার। যুবরাজের ব্যাটিংয়ে ভুল ক্রমশ কমে আসাটাও একটা ইতিবাচক ব্যাপার।
উপমহাদেশে টিপিক্যাল কন্ডিশন যে রকম থাকে, বাংলাদেশে কিন্তু তা পাচ্ছে না কেউ। বিশেষ করে এই উইকেট। যেখানে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বোলাররাই বেশি সাহায্য পাচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও তো একই রকম উইকেট ছিল। যার জন্য মহম্মদ আমের ভারতীয় ব্যাটিংকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটু পাটা পিচ পড়ে যাওয়ায় ওরা ঝামেলায় পড়ে যায়।
তবে ফাইনালে যে ভারতকে পাটা পিচ দেওয়ার ঝুঁকি নেবে না বাংলাদেশ, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমিরশাহি ম্যাচে সে রকম উইকেট পাওয়াটা তাই খুব দরকার ছিল। ফাইনালের আগে এই উইকেটে ব্যাটিং করাটা তাই ধোনিদের কিছুটা সুবিধেই করে দিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আমিরশাহী ৮১-৯ (শায়মন ৪৩, ভুবনেশ্বর ২-৮)
ভারত ৮২-১ (রোহিত ৩৯, ধবন ১৬, যুবরাজ ২৫, কাদির ১-২৩) ।