ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে একটা ব্যাপার নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে! হায়দরাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই করতে পারবে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ঘরের মাঠে, চেনা পরিবেশে ভারত সব সময়ই অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা কথা বলতে হবে। সাম্প্রতিক অতীতে, আফগানিস্তানকে বাদ দিয়ে আর কোনও দলকে এই ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়নি। যেটা দেখা গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে প্রথম টেস্টের সময়। কোনও লড়াই করতে পারেনি ওরা। যার ফলে তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ওই টেস্ট। হায়দরাবাদ টেস্টে ভাল কিছু করতে গেলে কিন্তু অনেক উন্নতি করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
প্রথম টেস্টে নিঃসন্দেহে সবার নজর কেড়ে নিয়েছে পৃথ্বী শ। নিজের সম্পর্কে যে ধারণাটা তৈরি করেছে পৃথ্বী, তার প্রতি সুবিচার করল অভিষেক টেস্টেই। অভিষেক ইনিংসেই নিজেকে চিনিয়ে দিয়েছে ও। আশা করব, যত দিন যাবে ওর টেকনিক আর মানসিকতা আরও মজবুত হবে। কেউই একশো ভাগ তৈরি হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আসে না। ম্যাচ খেলতে খেলতে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। আশা করব, পৃথ্বীও সেই কাজটা করবে আর আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য নিজেকে তৈরি করবে। কারণ, উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের বড় পরীক্ষাটা হয় বিদেশের মাটিতে।
পৃথ্বী ওর অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে দেখে শিখতে পারে, কী ভাবে একটা ইনিংস তৈরি করতে হয়। শুধু দেশের মাঠেই নয়, বিদেশেও নিয়মিত এই কাজটা করে থাকে বিরাট। বড় রান করার কোনও সুযোগই ছাড়ে না ভারত অধিনায়ক। তা প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন। এই সিরিজের প্রথম টেস্টেই সেটা দেখা গেল। বিরাটের এই মানসিকতাই ওকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে।
ভারতীয় বোলিংয়ের কথায় আসি। অশ্বিন, কুলদীপ, জাডেজা তো বটেই, এমনকি আমাদের পেসাররাও ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা যে সব শট খেলেছে, তা অত্যন্ত খারাপ। ভারত এই সিরিজে আবার পাঁচ ব্যাটসম্যান, পাঁচ বোলার ফর্মুলায় ফিরে গিয়েছে। যেটা ঘরের মাঠের জন্য একেবারে ঠিকই আছে। পাশাপাশি বিরাটদের মাথায় কিন্তু এটাও থাকতে হবে যে, মাস খানেকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু হবে। ফলে ওখানে যে দলটা খেলবে, সেটা এখনই মোটামুটি যেন তৈরি করে নেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভারতের ছক এখন থেকেই তৈরি করে নেওয়া হোক। কারা অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের প্রধান খেলোয়াড় হতে চলেছে, সে সম্পর্কেও একটা ধারণা গড়ে তুলতে হবে। এমনকি পরিস্থিতির চাপে কোনও রদবদল করতে হলেও, সেটা নিয়ে এখনই ভেবে নেওয়া হোক।
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারতকে তৈরি হতে সাহায্য করবে এই সব আগাম পরিকল্পনা।