আফগানিস্তান ম্যাচে হ্যাটট্রিক শামির। ছবি: রয়েটার্স
প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে এক উইকেট, শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক। তাঁর পরেও জুটল না ম্যাচের সেরার পুরষ্কার। ৯.৫ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট। তার মধ্যে রয়েছে একটি মেডেন ওভার। ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রথম নামা ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচে জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি মহম্মদ শামির জন্য পড়ে রইল শুধু দর্শকদের করতালি। স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে, ঠিক কোন যুক্তিতে ম্যাচের সেরা হলেন যশপ্রীত বুমরাহ এবং কোন যুক্তিতে নয় মহম্মদ শামি।
সাউদাম্পটনের এই মাঠে শুরুতেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবি ইঙ্গিত দিয়েছিল কঠিন হতে চলেছে দ্বিতীয় ইনিংসও। স্লো পিচে আফগান স্পিনারদের দৌরাত্ম্য (৩৪ ওভারে ১১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট) দেখে অনেকের ধারণা ছিল, হয়ত দেখা যাবে কুল-চা ম্যাজিক। কিন্তু শামি-বুমরাহর প্রথম স্পেলে ইঙ্গিত পাওয়া যায় অন্য কিছুর। বিশেষত শামির বাউন্সারগুলো যখন আফগান ব্যাটসম্যানদের মুখের সামনে দিয়ে আছড়ে পড়ছিল ধোনির হাতে, মনে পড়ে যাচ্ছিল বিখ্যাত চিন মিউজিকের কথা।
আরও পড়ুন: বুমরা-শামিদের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে ৫০তম জয় এনে দিল ভারতকে
স্বভাবতই তাই প্রশ্ন উঠছে, কেন বুমরাহকে দেওয়া হল ম্যাচের সেরার পুরষ্কার। ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে তিনি পেয়েছেন দু’টি উইকেট। যদিও সেই দু’টি উইকেটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া রাহমত শাহ (৬৩ বলে ৩৬ রান) ও হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে (৪৫ বলে ২১ রান) ২৮তম ওভারে ফিরিয়ে দিয়ে আফগান দুর্গে ফাটল ধরান বুম বুম বুমরাহ। সেই ভাঙন আটকানোর ক্ষমতা আর হয়নি আফগান বাহিনীর। এরপর নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে নবিদের। শেষ ওভারে শামির হ্যাটট্রিক কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়। ম্যাচ শেষে সেরার পুরষ্কার নিয়ে বুমরাহ বলেন, “আফগানিস্তানের রান আটকে রাখাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। শামির সঙ্গে আমার এই প্রতিযোগিতা দলের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে আক্রমণের পদ্ধতি ঠিক করি।” শেষ ওভারের প্রথম বলে শামির বল বাউন্ডারি পার হতেই বুমরাহর আফশোস বুঝিয়ে দেয় তাঁদের মধ্যের রসায়ন।
আরও পড়ুন: অত্যন্ত ধীর ব্যাটিং, ধোনি-কেদার পার্টনারশিপকে তুলোধনা সচিনের