শামির বাদ পরা মেনে নিতে পারছেন না তাঁর কোচ বদরুদ্দিন
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ধুন্ধুমার সেমিফাইনালে মহম্মদ শামিকে ছাড়াই নামল বিরাট কোহালির দল। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত দেখে রীতিমতো অবাক তাঁর কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকি। কেন যে বাংলার পেসারকে প্রথম একাদশে রাখা হল না, তাই বোধগম্য হচ্ছে না বদরুদ্দিনের। আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘সেমিফাইনালে ভারতের দল দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। এ রকম একটা ম্যাচে শামিকে দরকার ছিল।’’
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম দিকে সুযোগ পাননি এই এক্সপ্রেস বোলার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল করার সময়ে চোট পান ভুবনেশ্বর কুমার। তাতেই তিনি ঢুকে পড়েন কোহালির দলে। আর প্রথম ম্যাচেই ম্যাজিক দেখান শামি। আফগানদের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হ্যাটট্রিক-সহ চার উইকেট নেন তিনি।ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচেও তাঁর আগুনে বোলিং অব্যাহত থাকে। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধেও চার-চারটি উইকেট নেন ভারতের এই সিম বোলার।
দুটো ম্যাচে বল হাতে দুরন্ত বোলিং করলেও, একটাতেও ম্যাচের সেরা করা হয়নি তাঁকে। তা নিয়েও কম কালি খরচ হয়নি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত হেরে গেলেও, পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলারের তালিকায় উপরের দিকে উঠে আসেন শামি। ৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছিলেন। এরকম পরিস্থিতিতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। সেমিফাইনালের আগে দেখে নেওয়া হয় ভুবিকে। চোট থেকে ফিরে ভুবি ১০ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। তবুও শেষ চারের ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখা হল ভুবিকে। আর যিনি নিজেকে উজাড় করে দিলেন, সেই শামিই কি না বাদ! ক্ষুব্ধ বদরুদ্দিন বলছেন, ‘‘শুরুর দিকে এই পিচে বোলাররাই সুবিধা পাবে। এ রকম পিচে শামির পেসটা দরকার ছিল। ঘন্টায় ১৪০-১৪৫ কিমি বেগে ধেয়ে আসা বল খেলতে সমস্যায় পড়বে যে কোনও ব্যাটসম্যানই। আমার মনে হয় বড় ঝুঁকি নেওয়া হয়ে গেল।’’
মহম্মদ শামির কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকি।
আরও পড়ুন: ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারত-নিউজিল্যান্ড ধুন্ধুমার, বন্ধ রাখা হল আকাশপথ
বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছেন, ‘‘একটা কিছু চিন্তাভাবনা করেই তো প্রথম একাদশ বেছে নেওয়া হয়েছে। এত দূর থেকে ভারতীয় দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
সেমিফাইনালের বল গড়ানোর আগেই শামিকে নিয়ে কিন্তু শুরু হয়ে গেল চর্চা।