আউটফিল্ডে ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে ঋষভের আরও উন্নতি করার জায়গা রয়েছে।—ছবি এএফপি।
ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে ঋষভ পন্থকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচের পরে বলে দিলেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর। তিনি স্বীকার করে নেন আউটফিল্ডে ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে ঋষভের আরও উন্নতি করার জায়গা রয়েছে।
‘‘ওকে অনেক উন্নতি করতে হবে। প্রথমত, ওকে বল ছোড়ার টেকনিকে উন্নতি করতে হবে, পাশাপাশি আরও ক্ষিপ্র হতে হবে,’’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে মিক্সড জোনে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন শ্রীধর। অধিনায়ক বিরাট কোহালি এবং এবং ভারতীয় দলের সব চেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মাঠে কয়েকটি নির্দিষ্ট ফিল্ডিংয়ের জায়গা ঠিক করেছেন ঋষভের জন্য। শ্রীধর এই ব্যাপারে বলেন, ‘‘ওকে নির্দিষ্ট কয়েকটা জায়গায় ফিল্ডিং করাতে হবে আমাদের। বিরাট এবং ধোনি সেটাই চাইছে। ঠিক সময়ে ওকে ঠিক জায়গায় রাখতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঋষভ অন্তত পাঁচ রান বাঁচিয়েছিল ফিল্ডিংয়ে। সেটা বিরাট ব্যাপার। তা ছাড়া একটা ক্যাচও নিয়েছিল ও।’’
শ্রীধরের বক্তব্য অনুযায়ী, আউটফিল্ডে ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে ঋষভের তুলনায় দীনেশ কার্তিক এগিয়ে আছেন। ‘‘উইকেটকিপার হলেও দীনেশ অবশ্যই আরও ভাল ফিল্ডার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দীনেশ বেশ কয়েক বার ভাল ফিল্ডিং করেছে। ঋষভ উন্নতি করছে। ওকে এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে। এই কারণেই আমরা একই জায়গায় এক জনকে ফিল্ডিং করানোর উপরে জোর দিচ্ছি। যাতে তার একটা ধারণা তৈরি হয়,’’ বলেন শ্রীধর।
এজবাস্টনের মতো মাঠ, যা ঠিক বৃত্তাকার নয়, এমন মাঠে কোন কোণ থেকে বল ছুড়তে হবে সেটা জানা খুব জরুরি বলে মনে করেন শ্রীধর। ‘‘আসল কথা হল সচেতন থাকা। যে রকম এর আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেখা গিয়েছে। এই মাঠটা অনেকটা ইডেন গার্ডেন্সের মতো। এক বার বল ফিল্ডারকে পেরিয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। বাউন্ডারি লাইনের দিকে বল তাড়া করে তখন আর কোনও লাভ হয় না।’’
এ রকম মাঠে তা হলে কী ভাবে ফিল্ডিং করতে হবে সেটাও জানান শ্রীধর, ‘‘এই সব মাঠে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কোণটা ছোট করে ফেলতে হবে। এ রকম মাঠে আগে আমরা খেলতাম। কী ভাবে এ রকম মাঠে ফিল্ডিং করতে হয়, সেটা মাথায় রাখতে হবে। সব সময় তো আর বৃত্তাকার মাঠে ম্যাচ হবে না। তাই সচেতন থাকতে হবে। সেটাই আসল কথা।’’
শ্রীধর আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় ফিল্ডারদের উৎসাহ দেওয়া হয়, ফিল্ডিং করার সময় প্র্যাক্টিস পিচে বল ছুড়তে। তার কারণ কী? যাতে বলের চামড়া কিছুটা খসখসে হয়ে যায় এবং ধীর গতির বোলারদের সুবিধে হয়। ‘‘এমন কোনও যন্ত্র নেই যাতে আমরা আউটফিল্ড থেকে কী রকম গতিতে বল ছুড়তে হবে সেটা মাপতে পারি। তবে ফিল্ডিং করার সময়ে বলটা যেন গতিতে ঠিক জায়গায় ছোড়া হয়, সেটা নিশ্চিত করা হয়। বল একবার সুইং করা বন্ধ করে দিলে, প্র্যাক্টিস পিচটা ব্যবহার করতে চাই আমরা। সেখানে বলটা ফেলে কিছুটা খসখসে করতে পারলে স্পিনাররা একটু সুবিধে পায়,’’ বলেন তিনি।