সুযোগ: ম্যান ইউয়ের জার্সিতে নামতে উন্মুখ এরিকসেন। ফাইল চিত্র।
গত বছর ইউরোয় ম্যাচে মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রাণসংশয়ও দেখা দেয়। শেষপর্যন্ত হৃদযন্ত্রে কৃত্রিম যন্ত্রের সৌজন্যে কার্যত জীবনরক্ষা হয়। এ হেন ফুটবলার, ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের প্রত্যাবর্তন এখন ফুটবল-ইতিহাসে রূপকথা। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েই মাঠে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। ইটালির পুরনো ক্লাব নেয়নি। কাকতালীয় ভাবে সুযোগ পেয়ে যান প্রিমিয়ার লিগে। যেখানে একসময় টটেনহ্যামের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার ছিলেন। এ বার অবশ্য সুযোগ করে দেয় অনেক নীচের দিকের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ড। আর সেখানেই চেনান জাত। ফেরানো হয় জাতীয় দলেও। এবং সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা, আসন্ন ফুটবল মরসুমে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডেদের সঙ্গে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে।
শুক্রবারই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাব জানিয়ে দিল, ফ্রি-টান্সফারে এরিকসেনকে নেওয়ার খবর। সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ। নতুন ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগের জমানায় তিনিই ম্যান ইউয়ে দ্বিতীয় নতুন সদস্য। এরিকসেন বলেছেন, ‘‘ম্যান ইউ একটা বিশেষ ক্লাব। এখানে খেলার তর সইছে না। এমনিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বহু বার খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে রেড ডেভিলসের লাল জার্সি পরে নামার রোমাঞ্চই আলাদা।’’
নতুন কোচ প্রসঙ্গেও উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘‘আয়াখসে (আমস্টারডাম) কী ভাবে দল চালাতেন এরিক তা নিজের চোখে দেখেছি। ওখানে প্রত্যেক দিন একেবারে সবকিছু নিয়ম মেনে হত। তখনই বুঝেছিলাম, উনি অসাধারণ কোচ।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে কথাও হয়েছে। এরিক কী চান, তাও জেনেছি বিস্তারে। কী ভাবে দল খেলবে ইত্যাদি নিয়ে এখন থেকেই তাঁর কৌশল পরিষ্কার। এ সবে আমার আগ্রহ আর উত্তেজনাও বেড়ে যাচ্ছে।’’
অসুস্থ হওয়ার সময় এরিকসেন ইন্টার মিলানে খেলতেন। এমনিতে বুকে যে যন্ত্র নিয়ে এখন তিনি আছেন, সেই আইসিডি (ইমপ্ল্যান্টেবল কার্ডিয়োভার্টার ডেফিব্রিলেটর) শরীরে থাকলে ইটালির লিগে খেলা যায় না। প্রিমিয়ার লিগে যায়। তা-ই ব্রেন্টফোর্ড তাঁকে নিতে পেরেছিল। যে ক্লাবে গত মরসুমে ১৩ ম্যাচে তিনি নিজে একটি গোল করেছেন, চারটি করিয়েছেন। ব্রেন্টফোর্ড ইপিএল যাত্রা শেষ করেছে ত্রয়োদশ স্থানে। মাঠে ফেরা যাদের সৌজন্যে, সেই ক্লাবকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। সঙ্গে মন্তব্য, ‘‘‘এখনও আমি অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন সত্যি করার ক্ষমতাও আমার আছে। ম্যান ইউ আরও বড় লক্ষ্যে পৌঁছনোর মঞ্চ।’’