মারাকানা স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠি। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে গ্যালারিতে হওয়া নজিরবিহীন অশান্তির তদন্ত শুরু করার পথে ফিফা। এর ফলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে চলছে নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রদের দেশ। আর্থিক জরিমানা, পয়েন্ট কেটে নেওয়ার পাশাপাশি কিছু ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেও খেলতে হতে পারে ব্রাজিলকে।
রিয়ো ডি জেনেইরো বুধবার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে যখন দু’দেশের ফুটবলাররা সারি দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময়, তখনই গ্যালারির একাংশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের আক্রমণ করে ব্রাজিলের জনতা। এমনকি, ব্রাজিলের স্থানীয় পুলিশও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উপরে লাঠি চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হন। প্রতিবাদে দল নিয়ে বেরিয়ে যান মেসি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধ ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হয়। নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে ১-০ জয়ের পরে সমাজমাধ্যমে ক্ষুব্ধ মেসি লেখেন, ‘‘মারাকানায় দারুণ জয় পেলাম। কিন্তু ব্রাজিলের মাটিতে আরও এক বার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিগ্রহের ঘটনার জন্য এই ম্যাচটা আরও বেশি করে মনে থাকবে।’’ ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘‘ফুটবলে মাঠের ভিতরে ও বাইরে হিংসাত্মক ঘটনার কোনও জায়গা নেই।’’ এর পরেই বিশ্বফুটবলের নিয়ামক সংস্থার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ঘটনার তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ দিকে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পেরুর বিরুদ্ধে ভেনেজ়ুয়েলা তাদের ফুটবলারদের অপহরণের অভিযোগ করায়। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল পিন্তো দাবি করেন, বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ভেনেজ়ুয়েলা জাতীয় দলের বিমানে জ্বালানি ভরার অনুমতি নাকি দেয়নি পেরু সরকার!