Tim Paine

বক্সিং ডে টেস্ট কোথায়, ধন্দে পেনরা

অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। তার পরে বছর শেষে বিরাট কোহালির ভারতের মোকাবিলা করা।

Advertisement

কৌশিক দাশ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৫:৫৬
Share:

অস্ট্রেলীয় টেস্ট অধিনায়ক টিম পেন।

ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ দলে ফিরে এলেও টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। যে অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। তার পরে বছর শেষে বিরাট কোহালির ভারতের মোকাবিলা করা। কী ভাবছেন টিম পেন? মঙ্গলবার সকালে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আনন্দবাজার-সহ বিশ্বের বাছাই করা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিলেন অস্ট্রেলীয় টেস্ট অধিনায়ক।

Advertisement

টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন: ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে আমাদের আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটা টেস্ট খেলতে হবে। সবাই ভারত সিরিজটার দিকে তাকিয়ে। আমি কিন্তু বলব, আফগানিস্তানের চ্যালেঞ্জটা অন্য রকম। আমরা ভাল ভাবে তৈরি হতে পারব। মনে রাখবেন, আফগানিস্তানের হাতে গোটা কয়েক রহস্য-স্পিনার আছে।

করোনায় ক্রিকেট: ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজটার (৮ জুলাই শুরু) দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে আছি। করোনাভাইরাসের মধ্যে ক্রিকেট কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। ওই টেস্টে ক্রিকেটারদের এমন কিছু করতে হবে, যা আগে কখনও কেউ করেনি। আমি আর কোচ জাস্টিন (ল্যাঙ্গার) এই সিরিজটার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখব।

Advertisement

মেলবোর্নের ভবিষ্যৎ: খেলোয়াড়রা সবাই চায় ভর্তি গ্যালারির সামনে খেলতে। বিশেষ করে বক্সিং ডে টেস্টের মতো একটা ঐতিহ্যশালী ম্যাচে। যেখানে মেলবোর্ন পুরো ভরে যায়। এ বার জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে। তবে যদি ভারতের বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্ট (২৬ ডিসেম্বর) মেলবোর্ন থেকে সরাতেই হয়, তা হলে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। অস্ট্রেলিয়ার হাতে অনেক বিকল্প মাঠ আছে। (কেউ, কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছেন পার্‌থেও সরে যেতে পারে টেস্ট)।

ফাঁকা মাঠে সুবিধে কার: (হেসে) মনে তো হয়, সব চেয়ে সুবিধে হবে আমার। অভ্যাস আছে তো ফাঁকা মাঠে খেলে। তবে আমার মনে হয়, বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের ফাঁকা মাঠে খেলতে সমস্যা হবে না। একবার মাঠে নেমে পড়লে তখন আর মাথায় কিছু থাকে না। লড়াই শুরু হয়ে গেলে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই দর্শকদের কথাটা ভুলে যায়। তাই দর্শক থাকুক বা না থাকুক, আসল বিষয়টা দাঁড়িয়ে রয়েছে, কার কেমন দক্ষতা আর মাঠে নেমে সে সেটাকে কতটা কাজে লাগাতে পারছে, তার উপরে।

ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই: অনেকে বলছেন, ব্রিসবেনে না হয়ে পার্‌থে সিরিজের প্রথম টেস্ট হলে ভাল হত। আমি বলব, ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দু’দেশের যেমন পেস আক্রমণ, তাতে এই দুটো মাঠেই খুব ভাল খেলা দেখা যেত। ভারতের বিরুদ্ধে ব্রিসবেনে শেষ টেস্টটা কিন্তু খুব ভাল হয়েছিল। তবে আমরা সব ধরনের পিচেই খেলতে তৈরি।

গত বার আর এ বার: ভারতের বিরুদ্ধে গত বার আমাদের খুব সমস্যা হয়েছিল। বিরাটরা খুব ভাল খেলেছিল। তবে ওই সিরিজ হার (২০১৮-১৯ মরসুমে) থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আগের বারের চেয়ে এ বার আমাদের দল কিন্তু ভাল।

ভারত-দ্বৈরথের ছক: আমরা আগের বার স্কোরবোর্ডে মোটেও বড় রান তুলতে পারিনি। যার ফলে ভারতকে চাপেও ফেলতে পারিনি। বোলিং আক্রমণ যাই হোক না কেন, জেতার জন্য স্কোরবোর্ডে রানটা তো তুলতে হবে। পাশাপাশি, আশা করব আমাদের বোলাররাও বিরাট, চেতেশ্বর পুজারাদের ভাল বল করবে।

কোভিড পরবর্তী ক্রিকেট: অনেক কিছুই বদলে যাবে। খেলোয়াড় এবং দলগুলোকে সেই বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের সঙ্গে যেমন গত কয়েক বছরে প্রচুর সাপোর্ট স্টাফ ছিল। এখন তাদের অনেককে বাদ দিয়ে চলতে হবে। সাপোর্ট স্টাফের সাহায্য ছাড়াই ক্রিকেটারদের এগোতে হবে। নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজেদেরই অনেক কাজ করে নিতে হবে। এই সমস্যা অন্যান্য দলেরও হতে পারে। যারা তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেবে, তারাই সাফল্য পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement