বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে পুরো দিন ব্যাট করলেন হিমাচলের ব্যাটাররা। —ফাইল চিত্র
বোলারদের ব্যর্থতায় শেষ দিনে জেতা হল না বাংলার। ইডেনে রঞ্জির দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার দরকার ছিল ৯টি উইকেট। কিন্তু সারা দিন ধরে বল করেও তা তুলতে পারলেন না শাহবাজ় আহমেদরা। বাংলার বোলারদের বিরুদ্ধে পুরো দিন ব্যাট করলেন হিমাচলের ব্যাটাররা। তাদের চারটি উইকেট পড়ে। চার দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার জন্য পয়েন্ট পেল বাংলা।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৩১০ রান তুলেছিল বাংলা। জবাবে ১৩০ রানে শেষ হয়ে যায় হিমাচল প্রদেশের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় বাংলা। বিশাল রানের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়া হয় হিমাচলের উপর। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়েননি প্রশান্ত চোপড়ারা। সারা দিন ব্যাট করে যান তাঁরা। আকাশ দীপ এবং সায়ন শেখর মণ্ডল মিলে তিনটি উইকেট তোলেন শুক্রবার। একটি রান আউট হয়েছিল বৃহস্পতিবার। এই ৪ উইকেট হারিয়েই সারা দিন ব্যাট করলেন প্রশান্তরা। তিনি শতরান করেন। ২০৫ বলে ১০৯ রান করেন প্রশান্ত। অঙ্কিত কলসি করেন ৮২ রান।
প্রশান্ত এবং কলসি ১৪৬ রানের জুটি গড়েন। অমিত কুমার এবং প্রশান্ত গড়েন ৬১ রানের জুটি। অমিত ৩৮ রান করেন। শাহবাজ় ৩৭ ওভার বল করে ১০২ রান দেন। আকাশ দীপ ২১ ওভার বল করে ৮৬ রান দেন। অনেক চেষ্টা করলেও বাংলার বোলাররা ১০ উইকেট তুলতে পারলেন না।
দু’টি করে ম্যাচ শেষে এলিট গ্রুপ এ-তে শীর্ষে রইল উত্তরাখণ্ড। ১৩ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। বাংলার সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। তারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। হিমাচল রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। গ্রুপ বি-তে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই। দু’ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। মহারাষ্ট্র রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
পরের দু’টি ম্যাচের জন্য দল বেছে নিয়েছে বাংলা। অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং মুকেশ কুমারকে দলে ফেরানো হয়নি। একই দল নিয়ে পরের ম্যাচগুলি খেলবে বাংলা। নাগাল্যান্ড এবং উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। দু’টি ম্যাচই খেলতে হবে সেই রাজ্যে গিয়ে।