বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) ও গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র
গৌতম গম্ভীর কি আইপিএলের তিক্ততা ভুলে গেলেন? দেশ জিততেই বদলে গেলেন তিনি! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের পরে বিরাট কোহলির প্রশংসা শোনা গেল গম্ভীরের গলায়। সেই কোহলি, আইপিএলে যাঁর সঙ্গে মাঠেই বিবাদে জড়িয়েছিলেন গৌতি। সেই কোহলির থেকেই তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে বললেন তিনি।
বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় রয়েছেন গম্ভীর। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘‘বিরাট দেখাল কী ভাবে খেলাকে ঠিক মতো বুঝতে হয়। রান তাড়া করতে নেমে পরিস্থিতি কঠিন হলে প্রথমে সেই চাপটাকে সামলাতে হয়। কিছুটা শান্ত থাকতে হয়। তার সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও রাখতে হয় যে পরে যে কোনও রান তাড়া করতে পারব। বিরাটের সেই আত্মবিশ্বাস ছিল।’’
গম্ভীরের মতে, কী ভাবে ইনিংস খেলতে হয় সেটা সবাইকে শিখিয়ে দিয়েছেন বিরাট। তরুণ প্রজন্মের উচিত, সেটা দেখে শেখা। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের কথায়, ‘‘ক্রিকেট মানেই শুধু চার-ছক্কার খেলা নয়। দৌড়ে রান নিতে হবে। স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হবে। নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ নিলে চলবে না। বেশি ডট বল হলেই চাপ বাড়ে। সেই কারণে, দৌড়ে রান নেওয়ার পথ খুঁজতে হবে। আবার যখন সুযোগ পেয়েছে তখন বড় শট খেলেছে। বিরাটের ইনিংস দেখে বাকিদের শেখা উচিত।’’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারেন বলেই বিরাট এতটা ধারাবাহিক, এমনটাই মনে করেন গম্ভীর। তাঁর কথায়, ‘‘বিরাট ধারাবাহিক ভাবে রান করে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন কেউ পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারে। তার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে তৈরি থাকতে হয়। সব সময় হাওয়ায় বড় শট না খেলে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিরাট যে ইনিংস খেলেছে সেটা সহজ নয়। সেই কারণেই বিরাট অন্যদের থেকে আলাদা।’’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ২ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন বিরাট। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। দু’জনে মিলে ১৬৫ রান যোগ করেন। শতরানের সুযোগ ছিল বিরাটের। কিন্তু ৮৫ রান করে আউট হন তিনি। তত ক্ষণে ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। দেশ জিততেই এ বার বিরাটের প্রশংসা শোনা গেল গম্ভীরের মুখে।