দেশের হয়ে ৫২টি ওয়ানডে ও ৪২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন চহাল। — ফাইল চিত্র।
অনূর্ধ্ব-১২ দাবায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। দাবাড়ু হতেই পারতেন। কিন্তু, তার পর ক্রিকেটেই মন দেন। এবং যুজবেন্দ্র চহাল এখন সীমিত ওভারের ফরম্যাটে জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার।
চহালের মতে, ক্রিকেট মাঠে শান্ত থাকার শিক্ষা তিনি পেয়েছেন দাবা থেকেই। চহাল বলেছেন, “টেস্টে এমন হয় যে ভাল বল করেও সারাদিনে উইকেট মিলল না। কিন্তু পরের দিন ফিরে আসার সুযোগ থাকে। তাই ধৈর্য ধরতে হয়। সেই ব্যাপারে দাবা অনেক সাহায্য করেছে। ধৈর্য ধরে কী ভাবে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হয়, সেই শিক্ষা পেয়েছি।”
বিশ্ব যুব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন চহাল। বিশ্ব দাবা ফেডারেশনের ওয়েবসাইটেও নথিভুক্ত আছেন তিনি। তাঁর এলো রেটিং ১৯৫৬। কিন্তু, দাবা ছেড়ে কেন ক্রিকেট বেছে নিলেন চহাল? তাঁর উত্তর, “দাবা ও ক্রিকেটের মধ্যে কোনও একটাকে বেছে নিতে হত। বাবার সঙ্গে কথা বলে জানতে চেয়েছিলাম তাঁর পছন্দ। বাবা বলেছিল, আমার পছন্দই আসল। ক্রিকেটে বেশি আগ্রহ ছিল আমার। আর তাই বেছে নিয়েছিলাম ক্রিকেটকে।”
আরও পড়ুন: এত বাজি কেনা হল কখন! প্রশ্ন বিস্মিত অশ্বিনের
আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপের তো দেরি আছে’, রবিবারের ‘উৎসব পালন’কে তীব্র কটাক্ষ রোহিত শর্মার
আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেটার চহাল। কিন্তু, করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন চলছে সারা দেশে। চহাল তাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, “এমনিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর তেমন সুযোগ মেলে না। অনেক বছর পর বাড়িতে রয়েছি। তাই পরিবারের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটাচ্ছি। এটা নতুন অভিজ্ঞতা। দেরিতে শুতে যাই। সকালে উঠি দেরিতে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই সন্ধেবেলা।”