বিমল ঘারতি মাগার।—নিজস্ব চিত্র।
অঞ্জন মিত্রের হাত ধরে মোহনবাগানে খেলতে এসেছিলেন হরি খাডকা। নেপাল থেকে খেলতে আসা ফুটবলারটি কম সময়ের মধ্যেই জিতে নিয়েছিলেন কলকাতার ফুটবলভক্তদের মন। ফের এক বার সেই দেশ থেকেই তরুণ প্রতিভা বিমল ঘারতি মাগারকে এনে চমক দিল মোহনবাগান। চোট পাওয়া সনি নর্দের জায়গায় বিমলকে দলে নিয়েছে মোহনবাগান।
মোহনবাগান তাঁবুতে সোমবার ছিল বিমলের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন। আর প্রথম দিনই ক্লাবকে সাফল্য দেওয়ার সুর বিমলের গলায়। বিমল বলেন, “বড় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন ছিল বরাবরই। মোহনবাগানে সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে।”
তবে, মোহনবাগানের জার্সি প্রথম গায়ে চাপালেও তিনি যে সবুজ-মেরুন সম্পর্কে খুঁটি-নাটি সব খবরা-খবরই রাখেন, তা এ দিন স্পষ্ট হয়ে গেল বিক্রমের কথা থেকে। তিনি বলেন, “তিন বছর আগে নেপালে গিয়েছিল মোহনবাগান। ওখানে ওদের খেলা দেখেছি। তা ছাড়া টিভিতেও খেলা দেখেছি মোহনবাগানের। কলকাতা ফুটবল নিয়ে অনেক কথাই শুনেছি। এ বার পারফর্ম করতে চাই।”
আরও পড়ুন: সন্তোষ ট্রফিতে জিতে শুরু বাংলার
আরও পড়ুন: ট্রফির দৌড়ে পিছিয়েই চলেছে কলকাতা
ভাল খেলার পাশাপাশি দলকে সাফল্য দেওয়াই যে তাঁর মূল লক্ষ তা জানিয়ে দেন বিমল। তাঁর কথায়, “ভাল খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য নিজের ১০০ শতাংশ দিতে আমি প্রস্তুত।”
তবে, যার পরিবর্তে মোহনবাগানে খেলতে এসেছেন বিমল সেই সনির ছেড়ে যাওয়া জায়গায় এসে কতটা চাপ সামলাতে পারেন বিমল সেটাই এখন দেখার! সমর্থকদের মনে এই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করলেও বিমল একেবারেই চিন্তিত নন। নেপালের ওয়ান্ডার কিড বলেন, “এই বিষয়ে একদমই ভাবিত নই আমি। প্রথম বার আই লিগ খেলব। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে এবং তার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। চেঞ্চোর মতো খেলতে চাই।”
আই লিগে ভুটানের ‘রোনাল্ডো’ চেঞ্চোকে এনে চমক দিয়েছে মিনার্ভা পঞ্জাব এফসি। ইতিমধ্যেই চেঞ্চোর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ফুটবল বোদ্ধাদের। দেশের সেরা দলগুলির র্যাডারেও আছেন তিনি। এখন দেখার চেঞ্চোর মতোই চোখ একরাশ স্বপ্ন নিয়ে এ দেশে পা রাখা বিমল নিজের ভিত দৃঢ় করতে পারেন কি না ভারতীয় ফুটবল সার্কিটে।