কারিগর: বাংলাকে জয় উপহার প্রয়াস (বাঁ দিকে) ও ঈশানের। ফাইল চিত্র
কর্নাটকের বিরুদ্ধে হারের পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল বাংলা। হরিয়ানার বিরুদ্ধে তিন উইকেটে জয়ী মনোজ তিওয়ারির দল। ১২৩ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। তখনই ছয় বলে ১৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে প্রতিযোগিতায় দলকে দ্বিতীয় জয় এনে দেয় তরুণ লেগস্পিনার প্রয়াস রায়বর্মণ। দু’টি চার ও একটি ছয় মেরে দলকে চাপমুক্ত করে ১৬ বছর বয়সি ক্রিকেটার।
রবিবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বঙ্গ অধিনায়ক মনোজ। বাংলার পেস ত্রয়ীর দাপটে ১৪১-৮ স্কোরে আটকে যায় হরিয়ানার ইনিংস। ২৮ রানে তিন উইকেট নেন ঈশান পোড়েল। দু’টি করে উইকেট অশোক ডিন্ডা ও কণিষ্ক শেঠের। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে শাহবাজ আহমেদের ঝুলিতে একটি উইকেট। জবাবে এক ওভার বাকি থাকতেই সাত উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তুলে দেয় মনোজ-বাহিনী। দল জিতলেও বাংলার ব্যাটিং নিয়ে সে ভাবে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না কোচ অরুণ লাল। তাঁকে সব চেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে ঋদ্ধিমান সাহার ফর্ম। গত ম্যাচের মতো এ দিনও রান আউট হয়ে ফিরতে হয় বাংলার উইকেটকিপারকে। মাত্র তিন রান আসে তাঁর ব্যাটে। রবিবার কটক থেকে ফোনে অরুণ বলেন, ‘‘ঋদ্ধি ও মনোজ আমাদের মিডল অর্ডারের মূল ব্যাটসম্যান। ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্ব ওদের। যে কোনও একজন রান না পেলে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ।’’ এ দিন ৩২ বলে মনোজ করেন ৩০ রান। ২৪ বলে ৩২ রান করেন ওপেনার বিবেক সিংহ। অভিমন্যু ঈশ্বরন ফিরে যান ২২ রানে। মনোজ অবশ্য ঋদ্ধির ফর্ম নিয়ে ভাবতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এ রকম হতেই পারে। ঋদ্ধির মতো ক্রিকেটার দলে থাকাই একটা বড় সুবিধে। তা ছাড়া, জিতলাম কি না সেটাই আসল।’’ সোমবারই অসমের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচ বাংলার।