প্র্যাক্টিস পিচে ক্ষত তৈরি করে দিল্লি ম্যাচের মহড়া বাংলার

রবিবার থেকে ইডেনে স্পিন-সহায়ক পিচেই হতে চলেছে বাংলা-দিল্লি দ্বৈরথ। যা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল শুক্রবার বাংলার অনুশীলনে। নেট প্র্যাক্টিস চলাকালীন বোলারদের ‘ফলো থ্রু’-এ স্পাইকের ক্ষত তৈরি হয়েছিল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:২৯
Share:

একাগ্র: ইডেনে শুক্রবার বিশেষ প্রস্তুতি অভিষেকদের। নিজস্ব চিত্র

রবিবার থেকে ইডেনে স্পিন-সহায়ক পিচেই হতে চলেছে বাংলা-দিল্লি দ্বৈরথ। যা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল শুক্রবার বাংলার অনুশীলনে। নেট প্র্যাক্টিস চলাকালীন বোলারদের ‘ফলো থ্রু’-এ স্পাইকের ক্ষত তৈরি হয়েছিল। সেখানে জুতো ঘষে আরও বেশি ‘রাফ’ তৈরি করলেন ওপেনার অভিষেক রামন। ঠিক যেখানে বাঁ হাতি স্পিনার বল ফেলতে পারে। তার উপর বল ছুড়েই রামন, আমির গনিদের অনুশীলন করালেন কোচ সাইরাজ বাহুতুলে।

Advertisement

মেলবোর্ন টেস্ট শুরু হওয়ার আগে নেথান লায়নকে সামলাতে ঠিক এ ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন হনুমা বিহারী, মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা। বাংলাও সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিপক্ষ বাঁ হাতি স্পিনার বিকাশ মিশ্রকে সামলাতে। গত ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দু’ইনিংস মিলিয়ে ১২টি উইকেট নিয়েছিলেন বিকাশ। তাঁকে সামলানোর জন্যই হয়তো এই বিশেষ অনুশীলন। প্র্যাক্টিস শেষে কোচ সাইরাজ বলেন, ‘‘পিচ দেখে মনে হচ্ছে, বল স্পিন করতে পারে। তাই আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে ছেলেরা।’’

দিল্লিকে হারিয়েই ১৯৮৯-’৯০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলা। তাই দিল্লির বিরুদ্ধে প্রত্যেক ম্যাচই যেন বাংলার কাছে এক অন্য চ্যালেঞ্জ। কিন্তু গত বছর সেমিফাইনালে দিল্লির পেসার নবদীপ সাইনি ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন বাংলা শিবিরে। গোটা ম্যাচে পেয়েছিলেন সাত উইকেট। পাশাপাশি কুলবন্ত খেজরোলিয়াও ম্যাচে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। দিল্লির এই পেস ব্যাটারিকে রোখার জন্যই স্পিন-সহায়ক পিচে খেলতে চেয়েছে বাংলা শিবির।

Advertisement

কিন্তু পিচ দেখে কোনও ক্ষোভ নেই নবদীপের। গত বছর বাংলার বিরুদ্ধে যে ভাবে বল করেছিলেন, এ ম্যাচে তারই পুনরাবৃত্তি চান তরুণ পেসার। ইডেনে শুক্রবার অনুশীলনের শেষে নবদীপ বলেন, ‘‘বাংলাকে গত মরসুমে হারানোর স্মৃতি এখনও তাজা। সেটাই আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে।’’

বাংলার সামনে অঙ্ক এতটাই কঠিন যে, শেষ দু’ম্যাচে অন্তত ৯ পয়েন্ট না পেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে যেতে হবে। তার মধ্যে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ফর্ম নিয়েও বাংলা শিবির উদ্বেগে। যা বুধবারই জানিয়েছেন মেন্টর অরুণ লাল। তবে সুদীপ নিজে আত্মবিশ্বাসী। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি ম্যাচ আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রত্যেকেই জানে। দলকে ভাল জায়গায় দেখতে গেলে এই ম্যাচে আমাকে রান পেতেই হবে।’’

শুক্রবার দুই দলের অনুশীলনে দেখা যায়নি দুই অধিনায়ককে। পারিবারিক সমস্যার জন্য অনুশীলনে আসতে পারেননি মনোজ। দিল্লির অধিনায়ক নীতীশ রানার জ্বর হয়েছে। শনিবার তিনি অনুশীলন করতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement