চ্যাম্পিয়ন: রোমে সোনা জেতার পরে বজরং। ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতের পদক জয়ের অন্যতম ভরসা কুস্তিগির বজরং পুনিয়া রোম র্যাঙ্কিং সিরিজ প্রতিযোগিতায় রুদ্ধশ্বাস জয় পেলেন। গত বারের চ্যাম্পিয়ন লড়াইয়ের একেবারে শেষ দিকে দুই পয়েন্ট তুলে নিয়ে সোনা জয় নিশ্চিত করেন। যে সাফল্য তাঁকে ফের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে আসতে সাহায্য করল।
৬৫ কেজি বিভাগের লড়াইয়ে মঙ্গোলিয়ার তুলগা তুমুর অচিরের বিরুদ্ধে বজরং ০-২ পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু লড়াই শেষ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগে তিনি সমতা ফেরান। যে-হেতু শেষ স্কোরিং পয়েন্ট ভারতীয় কুস্তিগিরই পান, তাই তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। করোনাভাইরাসের জন্য প্রায় এক বছর পরে প্রতিযোগিতায় নামলেও বজরংয়ের পারফরম্যান্সে অনেক উন্নতি চোখে পড়েছে। তবে ২৭ বছর বয়সি বজরং অলিম্পিক্সে পদক জয়ের লক্ষ্যে আরও উন্নতি করতে চান। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বজরং বলেছেন, ‘‘আগের চেয়ে আমার লেগ ডিফেন্সে উন্নতি হয়েছে বুঝতে পারছি। তবে আরও উন্নতি করতে হবে। আক্রমণও আরও ধারালো করতে চাই।’’
মঙ্গোলিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জটা সহজ ছিল না বলেই তিনি জানাচ্ছেন। ‘‘৬৫ কেজি বিভাগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। মঙ্গোলিয়ার এই কুস্তিগির টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই ও দুর্বল প্রতিপক্ষ নয়। এই বিভাগে সব কুস্তিগিরেরই একটাই লক্ষ্য, টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভাল ফল করা। তাই সবাই প্রায় একই রকম শক্তিশালী,’’ বলেছেন বজরং। যোগ করেছেন, ‘‘এটা এমন একটা খেলা যেখানে ওঠা-পড়াটা লেগেই থাকে। আমি খুব খুশি ম্যাটে ফিরে
আসতে পেরে।’’
বজরংয়ের এ বার জাতীয় শিবিরে প্রস্তুতি নিতে ফিরে আসার কথা। তবে তিনি চান এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের আগে দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিতে। ৯ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা কাজাখস্তানে। ‘‘আমার লক্ষ্য এর পরে দেশের বাইরে প্রস্তুতি নেওয়া। তবে করোনার জন্য ইউরোপে আবার বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। তাই দেখা যাক কতদূর কী হয়। এই মুহূর্তে দেশের বাইরে যাওয়াটা সোজা নয়,’’ বলেছেন বজরং।
৭০ কেজি বিভাগ, যা অলিম্পিক্সে নেই, সেখানে বিশাল কালিরামন ব্রোঞ্জ জিতেছেন কাজাখস্তানের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৫-১ ফলে। তবে ডোপিংয়ের জন্য চার বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা নরসিংহ যাদব ব্রোঞ্জ পদকের প্লে-অফে হেরে গিয়েছেন ০-৫-এ। প্রায় এক বছরের মধ্যে হওয়া প্রথম র্যাঙ্কিং সিরিজ প্রতিযোগিতা থেকে ভারত সাতটি পদক পেল। এর মধ্যে মেয়েদের বিভাগে বিনেশ ফোগত এবং সরিতা মোর যথাক্রমে সোনা এবং রুপো জিতেছেন। গ্রেকো রোমান কুস্তিগির নীরজ (৬৩ কেজি), কুলদীপ মালিক (৭২ কেজি) এবং নবীন (১৩০ কেজি) ব্রোঞ্জ পান।