নতুন তৈরি জেলের যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পালিয়ে গেলেন আসামি। জেল থেকে বেরিয়ে চেখে দেখলেন মুক্তির স্বাদ।
ব্রাজিলের পারানা প্রদেশে ‘স্টেট পেনিটেনসিয়ারি ৪’ নামক কারাগার থেকে সম্প্রতি ওই বন্দি পালিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের খাতায় তাঁকে ‘অতি ভয়ঙ্কর’ অপরাধী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কারাবন্দি যুবকের বয়স ৩৫ বছর। একাধিক গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর অপরাধগুলি কী কী, স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
ব্রাজিলের ওই সংশোধনাগারটিতে সম্প্রতি পুরুষদের একটি বিভাগ নতুন করে খোলা হয়েছিল। সরকারের তরফে সেখানে যথাসম্ভব নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়।
সংশোধনাগারের নতুন বিভাগকে ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগার’ হিসাবে উল্লেখ করেছিল ব্রাজিল সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন।
সেই ‘নিশ্ছিদ্র’ নিরাপত্তা ভেদ করে কী ভাবে এক জন জেলবন্দি ‘ভয়ঙ্কর’ অপরাধী বেরিয়ে গেলেন, প্রশ্ন উঠেছে। নানা মহলে সরকারের সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
পারানার এই কারাগারের নতুন বিভাগ যে দিন উদ্বোধন হয়, কারা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ওসভাল্দো মেসিয়াস মাচাদো বলেছিলেন, ‘‘শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই কারাগার। এখানে সরকারের তরফে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
এই সরকারি বিবৃতির পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন আসামি। যে ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় প্রশাসন।
কী ভাবে আসামি জেল থেকে পালিয়ে গেলেন, সে বিষয়ে মুখ না খুললেও নিঃশব্দে কারাগারের তকমা বদলে ফেলা হয়েছে। ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগার’ থেকে ‘স্টেট পেনিটেনসিয়ারি ৪’ হয়ে গিয়েছে ‘মাঝারি নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগার’।
জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে শহরে আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়রা রাস্তায় বেরোতেই ভয় পাচ্ছিলেন।
তবে পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে ধরে ফেলে পুলিশ। ফের তাঁকে বন্দি করা হয়েছে। পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই গ্রেফতারির কথা জানানো হয়েছে শহরবাসীকে।
পারানার জননিরাপত্তা সচিবালয়ের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘পলাতক বন্দিকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। কী ভাবে তিনি পালিয়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’