জ্বরে মৃত্যু হল আরও এক রোগীর। মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ির বাসিন্দা আরেফা বিবি (৩৮) গায়ে জ্বর নিয়ে দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তা হলে কি মেদিনীপুর শহরেও হানা দিল অজানা জ্বর? শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে ম্যানিনজাইটিসে। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “আমরা সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখেছি। কারও কারও সন্দেহ ছিল এটা অজানা জ্বর। তবে ওই মহিলার মৃত্যু ম্যানিনজাইটিসেই হয়েছে।” তবে মহিলা যে এলাকার বাসিন্দা, সেই এলাকার কাউন্সিলর সৌমেন খানের অভিযোগ, “শহরের বিভিন্ন এলাকাতেই মানুষ জ্বরে ভুগছেন। অথচ, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। হাসপাতালেও আক্রান্তদের চিকিৎসা ভাল ভাবে হচ্ছে না।” তবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের দাবি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মেডিক্যালে আসছেন, তাঁদের ভাল ভাবেই চিকিৎসা করা হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গোয়ালতোড়ে ম্যালেরিয়াতে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। কয়েকজনের রক্তে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম জীবাণু মিলেছে। এঁদের বিশেষ পর্যবেক্ষণেও রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদেরও মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার হাসপাতালের জন্য নতুন করে আরও ৫০টি মশারি কেনাও হয়েছে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “চিন্তার কিছু নেই। আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপই করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে।”