ব্যস্ত চিকিৎসকেরা।—নিজস্ব চিত্র।
শহরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে সেই হাবরা শহরবাসীর দাবি পূরণ করতে চালু হল ‘স্বাস্থ্যদীপ’। বুধবার পুর ভবনের কাছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
প্রসঙ্গত, এত দিন হাবরা পুরসভার নিজস্ব কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল না। পুরসভা ও রাজ্য পুর দফতরের টাকায় স্বাস্থ্যদীপ তৈরি হওয়ায় খুশি শহরবাসী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘মোট ৪০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন স্বাস্থ্যদীপে সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত রোগী দেখবেন। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখা হবে।’’ মূলত হাবরা শহরের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে কম খরচে চিকিৎসা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যদীপ তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাবরা শহরের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার। শহরের মানুষ চিকিৎসার জন্য মূলত নির্ভরশীল হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উপরে। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ১৩১। ওই হাসপাতালের উপরে হাবরা ছাড়াও অন্য বহু এলাকার মানুষজনও নির্ভরশীল। রোগীর চাপ খুব বেশি। সে জন্য বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, শহরে একটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হোক। পুরসভা জানিয়েছে, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি কম খরচে এখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, এক্সরে-সহ রক্তের নানা পরীক্ষাও বাজার মূল্যের থেকে কম খরচে এখানে শহরবাসী করাতে পারবেন। ডাক্তার দেখাতে হলে রোগী প্রতি দিতে ১২০ টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যদীপ চালু হওয়ায় আশা করি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উপরে চাপ কমবে।’’ তবে স্বাস্থ্যদীপ থেকে কি শুধু শহরবাসী পরিষেবা পাবেন? পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামীণ এলাকার মানুষও এখান থেকে পরিষেবা পেতে পারেন। তবে তার জন্য পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের চিঠি লাগবে।